ভোটের সূচী ঘোষণার আগে থেকেই দলীয় কর্মীদের সজাগ হতে বলেছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারিত হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেক জায়গাতে কর্মী সভা করছেন তিনি। গতকাল নানুরে কর্মীসভা ছিল। নানুরের নেতারা কে কত লিড দেবেন, তা লিখে নিলেন অনুব্রত।
গত বিধানসভায় অল্পের জন্যে হাতছাড়া হওয়া নানুরে সিপিএমকে টার্গেট করতে কর্মীদের নিদান দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জানালেন এবারে ৫৫ হাজার ভোটে লিড চাই। এর পরেই হাতের তালুতে চেনা নানুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কর্মীদের নাম ধরে ধরে তুলে তাঁদের বক্তব্য শুনলেন অনুব্রত। গরমিল শুনলেই মাইক্রোফোন হাতে বাজখাঁই গলায় বললেন, ‘খালেক ভুল বলছ।’ কখনও বললেন ‘সকলকে নিয়ে চলতে হবে।’ আর এদিন মঙ্গলকোটে জানিয়ে দিলেন, বোলপুরে অসিত মাল ৪ লক্ষ, বীরভূমে শতাব্দী রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ ভোটে জিতবেন।
শুধু ভোট যুদ্ধে নয়, স্বচ্ছতাতেও নজর ছিল অনুব্রতর। নানুরের সম্মেলনের পর কর্মীদের ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল পাশের মাঠেই। অনুব্রতও নানুরেই দুপুরের খাবার খেয়ে মঙ্গলকোট যাওয়ার পথে দেখলেন কর্মীদের খাওয়া এঁটো পাতা পড়ে রয়েছে রাস্তার পাশে। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ গেল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের কাছে। এখনই তুলে নাও পাতা, পরিষ্কার করে দিতে হবে মাঠ। এরপর মঙ্গলকোটের দিকে গাড়ি ছুটল। সঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও রানা সিংহ। দুই সিংহ নিয়ে অনুব্রত মঙ্গলকোটে পৌঁছে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর ভরসা সংগঠনের ওপরে। মঙ্গলকোট দিয়েই বুথভিত্তিক সম্মেলন শেষ হল তাঁর।
গতকাল নানুরে ১১টি অঞ্চলের বুথ সভাপতিকে দাঁড় করিয়ে তাঁরা কত লিড দিতে পারবেন তা লিখিয়ে নেওয়াতে খুশি দলের কর্মীরা। কেউ কেউ বললেন, দাদা এবার ঠিক রাস্তা নিয়েছেন। লিড নিয়ে বোঝাতে হবে সে কত বড় নেতা। মঞ্চে অনুব্রতর পাশে খাতাকলম নিয়ে বসে ছিলেন ঘনিষ্ঠ রানা সিং। তিনি নিজেও নানুর বিধানসভার দাসকলগ্রামের বাসিন্দা। তাঁরও চেনা নানুরের বিভিন্ন এলাকা। স্বভাবতই নানুরে এই বুথভিত্তিক সম্মেলন হয়ে যাওয়ার পর বোলপুরের প্রার্থী অসিত মালকে জানানো হল এই বিধানসভা থেকেই কমপক্ষে ৪৫ হাজার লিড থাকবে।