বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ বার নদিয়ায় প্রশাসনিক জনসভায় এসে কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান অসীম সাহা ও করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগর ঘুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মহুয়াকে যে জেলা থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হতে পারে তার ইঙ্গিত এর মধ্যেই পেয়েছিলেন দলের অনেকে। তখনই কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। এবং জল্পনা সত্যি হয়েছে। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়াতে খুশি এলাকাবাসীও। ইতিমধ্যেই দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা।
মহুয়ার হাত ধরে আরও বেশি করে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলেছেন মহুয়া করিমপুর জুড়ে অনেক কাজ করেছেন। এনেছেন ১১০ কোটি টাকার কাজ। তাঁর উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে বাসস্ট্যান্ড, নাট্যমঞ্চ, কিষাণ মান্ডি, পার্ক ইত্যাদি। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ হয়েছে। হয়েছে নতুন রাস্তা। এই উন্নয়নের জন্যে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে এখন থেকেই তাঁকে এগিয়ে রাখছেন সকলে। যদিও করিমপুর বাসী হতাশ কারণ করিমপুর মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের অন্তর্গত।
এলাকার বাসিন্দা সোহম বিশ্বাস বলেন, “ মহুয়া মৈত্র খুব ভালো বিধায়ক। উনি বিধায়ক হবার পরে করিমপুর হাসপাতালের অনেক উন্নতি হয়েছে। আইআইটি কলেজ হয়েছে। আমরা ওনাকে ভোট দিতে না পারলেও উনি জিতুন এটাই চাই। উনি জিতলে কৃষ্ণনগরের অনেক উন্নতি হবে”। মহুয়া নিজে এ দিন বলেছেন, ‘‘আমি শুধু পরিশ্রম করে কাজটা করি। কিছু পাব ভেবে করি না। আমাকে কেন প্রার্থী করা হল তার উত্তর একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারবেন।’’
নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জোরকদমে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয়। বুধবারও তেহট্ট বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লেখা হয়। জেলা পরিষদের সদস্যা টিনা সাহা ভৌমিকের নেতৃত্বে কানাইনগর, ছিটকা অঞ্চলে দেওয়াল লেখার কাজ হয়। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন দেওয়াল তৃণমূল দখল করে রেখেছিল। মহুয়া মৈত্রকে এই কেন্দ্র থেকে জেতাতে একজোট হয়ে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।
মঙ্গলবার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ পোদ্দার, জেলা পরিষদের সদস্য বিপ্লব বিশ্বাস বেতাই, শ্যামনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লিখতে শুরু করেন। তরণীপুর এলাকায় জেলা পরিষদ সদস্য ঝুম্পা বিশ্বাস, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি জুলফিকার আলি খান, তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছন্দা বিবি খান, তেহট্ট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রণদাপ্রসাদ বোস ও বার্নিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তরুণ ঘোষ চৌধুরীর নেতৃত্বে দেওয়াল লেখার কাজ চলছে জোরকদমে।