নুসরত নিয়ে উচ্ছ্বসিত বসিরহাট। ইতিমধ্যেই প্রচার, দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। অন্যান্য প্রার্থীরাও জোরকদমে নেমে পড়েছেন ভোটযুদ্ধে। নাম ঘোষণার পরে প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, মানুষের জন্যে কাজ করবেন। সবসময় পাশে থাকবেন তাঁদের।
নুসরত প্রথমেই বললেন, সারাজীবন বাড়িতে, কাজের জায়গায় অনেক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি, তাই আশা করছেন মানুষকে সেবা করার এই দায়িত্বটাও তিনি সঠিক ভাবে সামলাতে পারবেন। নুসরত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেছেন “যাও জিতে এস”।
সদ্য রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেও খুব একটা ভয় পাচ্ছেন না অভিনেত্রী। হাসিমুখে তিনি জানালেন, “যখন অভিনয় করতে এসেছিলাম, ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে নতুন ছিলাম। লড়াই করে সেখানে নিজের জায়গা করেছি। এখানেও আমি নতুন, কিন্তু জানি, মানুষের ভালবাসায় নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারব।’
সিনেমাতে তো হিট ফ্লপের অনেক ভয় থাকে, এখানেও তেমন আছে নিশ্চয়ই? নুসরত বললেন, “হ্যাঁ, আছে তো। তবে মানুষ আজ পর্যন্ত আমাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। আশা করি, আমার এই পর্যায়েও মানুষ ভালবাসায় ভরিয়ে দেবেন”। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে ও মিমি চক্রবর্তীকে অশ্লীল আক্রমণ করেছে অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মিম উঠে এসেছে। তাই নিয়ে নুসরত স্পষ্ট জবাব দিলে, যাঁরা এই ধরনের মিম বানাচ্ছে, তাঁদের জীবনে শিক্ষা ও সংস্কৃতির অভাব আছে। নিজেদের বাড়ির মহিলাদের যখন এভাবে কুৎসিত আক্রমণ তাঁরা করেন না, তখন এভাবে একজন মহিলা প্রার্থীকে আক্রমণের কী মানে? আসলে, এরা ভদ্রতা, সভ্যতার সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন।’ শুধু তাই নয়, আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে নিয়ে ঠাট্টা করেছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাই নিয়েও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন নুসরত। মনে করিয়ে দেন, সুচিত্রা সেনের পরিবারের সন্তান মুনমুন, তাঁকে নিয়ে এভাবে ঠাট্টা করার আগে দু’বার ভাবা উচিত ছিল বাবুলের।’