রবিবার ভোট ঘোষণা ও নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর ৪৮ ঘন্টা যেতে না যেতেই, মঙ্গলবার কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন ৪২ কেন্দ্রের প্রার্থীরা।
গতকাল বিকেল থেকেই নতুন-পুরনো সমস্ত প্রার্থীকেই শুভেচ্ছা জানাতে তাঁদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে, দেরি না করে প্রচার ও দেওয়াল লিখনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন খোদ প্রার্থীরাও। যেমন বুধবার সকালে দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে পৌঁছন সেখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেখানে বিশাল মালা পরিয়ে সৌগতবাবুকে শুভেচ্ছা জানান তাঁরা। সমর্থকদের শুভেচ্ছায় আপ্লুত সৌগতবাবু বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই দমদমে প্রচারে ঝড় তুলবে তৃণমূল।
একই ছবি দেখা যায় দক্ষিণ কলকাতাতেও। এবার সেখানে প্রার্থী কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। নিজের খাসতালুকে তৃণমূলকে জয় এনে দেওয়ার দায়িত্ব মালাকেই দিয়েছেন দলনেত্রী। তাই দেরি না করে প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর দিনই দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেওয়াল লিখনে ঝাঁপিয়েছেন মালা। ওদিকে বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাতে তো বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান সেই জেলার নেতাকর্মীরা। ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান বাঁকুড়ার তৃণমূলকর্মীরা।
তিনি জানিয়েছেন, চাইলে তো দক্ষিণ কলকাতা থেকেও দাঁড়াতে পারতাম। কিন্তু দলনেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেই বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন। তাই শুক্রবারই বাঁকুড়া যাব। তারপর তৈরি হবে রণনীতি। একইভাবে দেরি করতে নারাজ যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মিমিও। প্রার্থীতালিকা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই যাদবপুরে মিছিল করে প্রচার শুরু করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মোদ্দা কথা, অপেক্ষা ছিল শুধু দলনেত্রীর তরফে প্রার্থীতালিকা ঘোষণার। যা হতেই প্রচারের ঢাকে কাঠি দিয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন মমতার বিশ্বস্ত সৈনিকরা।