তাঁর বয়স তিন বছর, রাজনীতিটাও তেমন আয়ত্তে নেই। কিন্তু রীতিমতো গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া মেয়র। ভোটাভোটিতে জিতে মসনদে পা ছড়িয়ে বসেছে এই মেয়র। উত্তর আমেরিকার ছোট্ট শহর ফেয়ার হেভেনের নাগরিকদের ভালমন্দ দেখাশোনার কাজ করছে এই ছাগল। নব নির্বাচিত এই মেয়রের নাম লিঙ্কন। গত মঙ্গলবার ফেয়ার হেভেনে এই মেয়র নির্বাচনের গণভোট হয়। মেয়র পদের জন্য প্রার্থী ছিল মোট ১৬ জন। তারা কেউই মানুষ নন। ছাগল, কুকুর, বিড়ালের মতো পোষ্যদের মধ্যেই এই নির্বাচন হয়। শেষ পর্যন্ত ছাগলের সঙ্গে এই লড়াইয়ে ছিল একটি কুকুর। তার নাম স্যামি।
ফেয়ার হাভেনের বর্তমান জনসংখ্যা ২,৫০০। নিউ ইয়র্কের গা ঘেঁষা এই শহর নিরিবিলি, ছিমছাম। শহরের মেয়র পদের জন্য যখন ভাবাই হলো, তখন মানুষ নয় কেন? গান্টারের কথায়, গণতন্ত্রের এটাই সেরা নিদর্শন। মার্কিন মুলুকের সব শহরে যখন মেয়র পদের জন্য হুড়োহুড়ি চলছে, তখন তাঁর শহর গণতন্ত্রে বিশ্বাস রেখে একটু আলাদা পথেই হাঁটতে চেয়েছে।
ফেয়ার হাভেনের আগেও বিশ্বের নানা দেশে, সরকারি পদে পশুদের বসানো হয়েছে। ১৯২২ সালে ব্রাজিলের ফোরটালেজা শহরের সিটি কাউন্সিলর হয়েছিল একটি ছাগল। ১৯৮১-৯৪ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার সুনোলে মেয়রের পদে ছিল ব্ল্যাক ল্যাব্রাডর বস্কো। ১৯৯৭ সালে স্টাবস নামে একটি বিড়াল আলাস্কার একটি শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল। হালে ২০১৪ সালে মিনেসোটার করমোরান্ট শহরের মেয়র হয় একটি কুকুর, নাম ডিউক। ২০১৮-র জুলাইতে মিশিগানের ওমেনার মেয়রের পদে বসে বিড়াল সুইট টার্ট।