কথা ছিল মোহনবাগান ক্লাবের উদ্যোগে একটি মিউজিয়াম তৈরি হবে। সেখানেই পদ্মশ্রী-সহ গোষ্ট পালের সমস্ত ট্রফি,পদক, দুষ্প্রাপ্য সমস্ত ছবি, স্মারকগুলি সংরক্ষণ করা হবে। সেই কথা মতোই ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী-সহ গোষ্ঠ পালের সমস্ত পদক এবং দুষ্প্রাপ্য বেশ কিছু ছবি এবং সব ট্রফি ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছিল কিংবদন্তি ফুটবলারের পরিবার। কিন্তু কথা রাখতে পারেনি মোহনবাগান। ২৭ বছর পরেও সেই মিউজিয়াম রয়ে গেছে গল্পকথায়। বাস্তবে তার কোনো হদিশই নেই। অনেক অনুরোধে দীর্ঘ খোঁজাখুজির পর গোষ্ঠ পালের পুরস্কার পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দিল ক্লাব৷
ফেরত পাওয়া পুরস্কারের মধ্যে অনেক পুরস্কারের হদিশ নেই। গোষ্ঠ পালের পদ্মশ্রী পদক ফিরে পেল না পরিবার৷ সব মিলিয়ে মোট সাতটি সামগ্রীর হতিশ দিতে পারছে না মোহনবাগান। তবে সামগ্রীগুলি ভবিষ্যতে খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোহনবাগান৷ ২৭ বছর কেটে গেলেও তৈরি হয়নি সেই মিউজিয়াম৷ সেই অভিযোগ এনেই পদ্মশ্রী-সহ গোষ্ঠ পালের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ট্রফি ও পুরস্কার ফেরত চায় পরিবার৷ পুরস্কারগুলি ফেরত পেতে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখেছিলেন গোষ্ঠ পাল পুত্র নীরাংশু পাল৷ সেই চিঠির পরই মোহনবাগানের টনক নড়ে৷ মোহনবাগানের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবল দলকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন গোষ্ঠ পাল৷ দুরন্ত ডিফেন্সের জন্য তাঁর নাম ছিল ‘চিনের প্রাচীর’। তাঁর নামে ডাক-টিকিট চালু হয়। ১৯৬২ সালে ভারতের প্রথম ফুটবলার হিসেবে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন গোষ্ঠ পাল।
বাংলাদেশের জন্ম হলেও মোহনবাগান ছিল গোষ্ঠ পালের প্রাণের খুব কাছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯১২ সালে মোহনবাগানে সই করেন। টানা ২৪ বছর খেলেছিলেন মোহনবাগানের হয়ে। পরাধীন ভারতে ইংরেজদের দেওয়া পদবিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।