মোদী আমলে বেকারত্ব বেড়েছে। কাশ্মীর সমস্যা প্রবল হয়েছে। এমনকী প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে রাফাল চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ নথি পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে। উরি, পাঠানকোট, পুলওয়ামায় পরপর জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটছে। সবমিলিয়ে দেশ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মোদী সরকার। নতুন সরকারই এইসব সমস্যার সমাধান করবে। কাশ্মীরে শান্তি ফেরাবে। শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শেষ মিনিট দশেক বক্তৃতা পেশ করেন মমতা। সেখানেই একথা বলেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, ‘উরি, পাঠানকোট, পুলওয়ামার ঘটনা কেন ঘটল? গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন ঠেকানো গেল না জওয়ানদের মৃত্যু?’ এরপরেই প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, ‘মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট শেষ। নতুন সরকার এসে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাবে। খতম করবে উগ্রপন্থা। এটা আমাদের অঙ্গীকার’।
রাফাল চুক্তির নথি চুরি যাওয়া নিয়ে মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘আপনি গোটা দেশটাকে চুরি করে নিয়েছেন। চলে গেলে দেশ বুঝবে দেশের ভাণ্ডার চুরি করেছে’। নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের গতিবিধি বাড়াতে বাইক দিচ্ছে বিজেপি। মমতার কথায়, ‘আগে খেতে পেত না, এখন বাইক দিচ্ছে। কার টাকা? এগুলো সব জনগণের টাকা, নোটবন্দির টাকা, রাফায়েলের টাকা’।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলার মহিলাদের উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ভোট এলেই কিছু লোক ৩৩ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণের দাবি তোলে। কিন্তু আমরা এ সব অনেক দিন আগেই করে দিয়েছি। আমাদের ৩৫ শতাংশ নির্বাচিত সদস্য মহিলা’। সবুজ সাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘বাংলাই দেশের মধ্যে সেরা। মহিলাদের উন্নয়নে আমাদের রাজ্যই দেশের মধ্যে এক নম্বর’।