আজ ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৮৪তম জন্মজয়ন্তী। এই উপলক্ষে সকাল থেকেই বেলুড়মঠে ভক্তের সমাগম। তাঁর জন্মভিটে হুগলীর কামারপুকুর-সহ একাধিক জায়গায় পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণের জন্মতিথি। বেলুড়মঠে বেদপাঠ, প্রার্থণা, স্তবগান, ভজন, সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জন্মজয়ন্তী। দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়েছেন কামারপুকুরে।
বেলুড়মঠে সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে। তারপর দিনব্যাপি অনেক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্মরণ করা হবে রামকৃষ্ণদেবকে। কিন্তু শতবর্ষ পুরোনো বাজি প্রদর্শনী এবার স্থগিত রাখা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের হাত ধরে শুরু হওয়া বাজি প্রদর্শনী পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক মানুষের আগমন হত এই বাজি প্রদর্শনী দেখার জন্য। স্বভাবতই এই কারণে হতাশ অনেক মানুষ।
১৮৩৬ সালে হুগলীর কামারপুকুরের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন গদাধর। তাঁর পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মা চন্দ্রমণি দেবী। পরবর্তী কালে তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এক উদার মানব ধর্মের প্রসার করেছিলেন। নারীকে তিনি মাতৃ রূপে এবং শক্তি রূপ হিসেবে সমাজের কাছে তুলে ধরেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ, কেশব চন্দ্র সেন, শিবনাথ শাস্ত্রীর মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা তাঁর আদর্শে প্রভাবিত ও দীক্ষিত হন। সমাজকে নতুন পথ দেখিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে উৎসর্গ করেই স্বামীজী রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।