এয়ারস্ট্রাইকের ফলে কর্নাটকে বিজেপির ২২টি আসন নিশ্চিত বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। এবার বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী বৈঠকে একই কথা বললেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘রাজনীতিতে দেশপ্রেমের প্রভাব পড়বে’। স্পষ্ট করে দিলেন, দেশপ্রেমের আবেগই এখন তাঁদের ভোটবাক্সের মূল রসদ।
মৃত জওয়ানদের নিয়ে এই গেরুয়া শিবিরের রাজনীতির এই মনোভাবের কথা জেনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘জওয়ানদের রক্ত নিয়ে ওরাই যে রাজনীতি করছে, দলনেত্রী আগেই সে অভিযোগ করেছিলেন। আজ ওরা নিজেদের মুখেই তা স্বীকার করে নিল!’ নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে দিলীপবাবু – সকলেই যুদ্ধ জিগির এবং দেশপ্রেমের আবেগের ‘রাজনীতিকরণ’ ঘটাচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেশকদের একাংশ। তাঁদের মতে, দেশকে রক্ষা করতে জওয়ানরা লড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা যে দায়িত্ববোধ দেখিয়েছে, বিজেপি তা করেনি।
দলীয় কর্মীদের ওই সভায় দিলীপ ঘোষ জানান, রাজ্যের যে সব সেনা বিভিন্ন সময় জঙ্গীদের হাতে নিহত হয়েছেন, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের তরফে বিশেষ ‘সৈনিক’ সম্মান জানানো হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কটাক্ষ, বিজেপির এই কর্মসূচিতেও স্পষ্ট, জওয়ানদের নিহত হওয়ার ঘটনাকে তারা ভোটবাক্সে ঘোরাতে চাইছে।
