পিআরসি বিল নিয়ে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভের জেরে পিছু হঠল অরুণাচল প্রদেশের প্রেমা খাণ্ডুর সরকার। বিবৃতি দিয়ে রাজ্য সরাকেরর তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র বিষয়টি রাজ্য সরকার আর গ্রহণ করবে না৷ ফলে মানা হচ্ছে না এই সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সুপারিশও৷ বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু বলেন, ‘ভবিষ্যতে স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্রের মত বিতর্কীত কোনও বিষয়ই সরকার গ্রহণ করবে না৷ বিশেষ কমিটি যে ছয়’টি জনজাতিতে এই সংশাপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছিল তাও বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে৷’ বিক্ষোভকারীদের কাছে তাঁর আবেদন, ‘পিআরসি ইস্যু শেষ হয়ে গিয়েছে৷ সরকার দাবি মেনে নিয়েছে৷ এবার তাই ধর্না, বিক্ষোভের মত কর্মসূচি বন্ধ রেখে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় এগিয়ে আসুক জনতা৷’
ঘটনার সূত্রপাত ‘স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে৷ রাজ্য সরকার অরুণাচলের তপশীলি জাতিভুক্ত ছয় সম্প্রদায়কে স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র দেওয়ার কথা জানায়৷ সরকার নিযুক্ত প্যানেল সুবিধাভোগীদের তালিকাও প্রকাশ করে৷ এই প্রকাশিত তালিকারই বিরোধীতায় জোট বাঁধে অন্যান্য সম্প্রদায়৷ তাদের দাবি, কেন ওই ভূমিপুত্র ছয়’সম্প্রদায় ছাড়া অন্যান্যরা স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র পাবে না? পালটাতে হবে প্রকাশিত তালিকা৷ উল্লেখ্য, যে ছ’টি সম্প্রদায়কে পিআরসি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল, সেগুলি হল দেওরি, সোনোওয়াল কাছারি, মোরান, আদিবাসী, মিশিং এবং গোর্খা৷