দার্জিলিংয়ের পর এবার ট্রয়ট্রেন চলবে জলপাইগুড়ির করলা নদীর ধার দিয়ে। পাহাড়ের বাঁক ধরে এগিয়ে গিয়ে ট্রেন পৌঁছাবে পাহাড়চূড়ায়। এ যেন নস্টালজিয়া, ছেলেবেলার ভালোবাসা, বিস্ময়! অনেকেরই শৈশবের সেই নস্টালজিক সেই অনুভূতি এবার মিলবে জলপাইগুড়ি শহরে। এখানে পাহাড় নেই, তবে জঙ্গলের মোড় ঘুরতে ঘুরতে অনুভব করা যাবে ছেলেবেলাকে।
জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা চিলড্রেন্স পার্ককে শিশুদের কাছে পুনরায় আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার জলপাইগুড়ি পুরসভার টয় ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে এই নিয়ে যাবতীয় কথা হয়ে গিয়েছে। সবেমিলিয়ে শহরের এই পার্কের প্রাণ ফেরাতে খরচ ধরা হয়েছে দুই কোটি টাকা। এমনটাই জানালেন পুরপ্রধান মোহন বসু।
পার্কটিকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজিয়ে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। যার মধ্যে একটি টয়ট্রেন। পুরপ্রধান আরও জানান, সম্প্রতি উত্তরকন্যায় এই পরিকল্পনার কথা শুনে খুশি হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতার পরপরই জলপাইগুড়ি শহরের শিশুদের বিনোদনের জন্য গড়ে ওঠে এই চিলড্রেন্স পার্ক। আটের দশক পর্যন্ত যা ছিল শহরে বিকেলে বেড়ানোর অন্যতম ঠিকানা। করলা নদীর পাড় ঘেঁষে এই পার্কে শৈশব-কৈশোর জীবন কেটেছে অনেকেরই। সেই স্মৃতি আজও অনেকের মনে অমলিন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে আজ ভগ্নপ্রায় সেই পার্ক। জলপাইগুড়ির পুর প্রধান মোহন বসু বলেন, “পার্কের এই বেহাল দশা দেখে বহু মানুষ তাঁদের হতাশার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা পার্কটির পুনরুদ্ধারের কথা বলেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই পুরসভার এই এগিয়ে আসা”।