বাংলার মানুষের যে কোন সমস্যাতে পাশে দাঁড়ানোর মন্ত্রে সকলকে দীক্ষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা নিজেও পাশে থাকেন সকলের সুখে-দুঃখে। একই ভাবে এগিয়ে এলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আখড়াশাল গ্রামে মাটি চাপা পড়ে মৃত বালিকাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক।মৃত তিন বালিকার পরিবারের সাহায্যার্থে সাংসদ এক লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন।
গতকাল বিকেলে রাস্তা নির্মাণের জন্য খোঁড়া মাটিতে চাপা পড়ে তিন বালিকার মৃত্যু হয় পাত্রসায়র থানার আখড়াশাল গ্রামে। আহত হয়েছে দুটি শিশু। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো এক লক্ষ টাকা করে তিনটি পরিবারকে মোট তিন লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিধায়ক গুরুপদ মেটে তিনটি পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে ও আহত পরিবার দুটিকে ৫ হাজার করে দেন। তিনি আরও জানান, তাঁদের ব্লক থেকেও তাঁরা ১০ হাজার টাকা ও এক বস্তা করে চাল তুলে দিয়েছেন পরিবারগুলির হাতে। তিনি জানান, আহত দুই শিশুর মধ্যে বৃষ্টি বাউরির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। উদ্ধারের সময় তার মাথায় কোদালের কোপ লেগেছে বলে অনুমান। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হবে।
সোমবার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাত্রসায়র থানার আখড়াশাল গ্রামে সেই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, বিধায়ক অরূপ খাঁ, বিধায়ক স্বপন বাউরি, বিধায়ক গুরুপদ মেটে, মহকুমা শাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল, মহকুমা পুলিস অফিসার বিষ্ণুপুর সুকোমলকান্তি দাস, পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম সিং প্রমুখ। তাঁরা ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করে ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। জেলাশাসক তাদের আশ্বাস দেন, জেলা প্রশাসন ওই পরিবারগুলির পাশে থাকব। পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তর থেকে যাতে তারা ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য পায়, তাঁরা তার ব্যবস্থা করছেন। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট থেকেও যাতে ২ লক্ষ টাকা করে তারা সাহায্য পায়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পরিবারগুলির কাউকে কোনও কাজে যুক্ত করা যায় কিনা, প্রশাসন তাও ভেবে দেখছে।