এই শীতের মরশুম দার্জিলিংয়ের পর্যটকদের মন ভরিয়ে দিয়েছে৷ মরশুমের মাঝামাঝি তুষারে ঢেকেছিল দার্জিলিং৷ ভ্রমণপিপাসু এবং হোটেল ব্যবসায়ী, মুখে হাসি ফুটেছিল দু’পক্ষেরই৷ ফেব্রুয়ারির এই মাঝপথে আবারও তুষার-চাদরে ঢাকল শৈলশহর৷
শনিবার বেলা ১২টার পর থেকে তুষারপাত শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত মাঝেমাঝেই বরফ পড়েছে। ঘুম, টাইগারহিল, সান্দাকফুতেও এ দিন বরফ পড়েছে। তুষারপাত হয়েছে ছাঙ্গু, লাচুং, লাচেন, টুংলিংয়ের মতো এলাকায়। নেওড়াভ্যালির উপরে আরও বেশি উচ্চতায় তুষারপাতের খবর মিলেছে। তবে পাহাড়ের নিচু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
দার্জিলিংয়ে ফের বরফ পড়ায় বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার কর্মকর্তারা খুশি। তাঁদের মতে শীতের মরসুমে একাধিকবার তুষারপাত পাহাড়ে পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত শীতের মরসুমে পাহাড়ে পর্যটক কিছুটা কমই থাকে। কিন্তু বরফ পড়ায় শীতের মরসুমেও তুষারপাত পর্যটক টানছে বলে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘এই নিয়ে এ বছর তিনবার তুষারপাত ঘটল। পর্যটকদের কাছে এটা একটা আলাদা মাত্রা পাচ্ছে। অনেকেই তুষারপাত দেখতে ভিড় করছেন। এতে শৈল শহর এবং সিকিমে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে।’’
ফেব্রুয়ারির মাঝে বরফ দেখে উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই পর্যটকদের মধ্যে। শৈলশহরে বরফ পড়ার খবরে শিলিগুড়ি, ডুয়ার্স থেকে তো বটেই কোচবিহার, রায়গঞ্জ থেকেও তুষারপাত দেখার ইচ্ছে নিয়ে অনেকেই রওনা হন এ দিন দুপুরের মধ্যে। অবশ্য অভিযোগ উঠেছে পানীয় জল ও খাবারের অভাব নিয়েও। অনেক দোকানপাট বন্ধ। তুষারপাতের কারণে অনেক গাড়িও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।