ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা প্রশ্নে বিতর্ক নেই। এক বাক্যে প্রায় সবাই পেলেকেই সেই সম্রাটের মুকুট পরিয়ে দিয়েছে। প্রশ্নটা যদি হয়, পেলের পরে কে? এ নিয়ে যুক্তিতর্ক তো হবেই। কিছুদিন আগে ব্রাজিলিয়ান পত্রিকা প্ল্যাকার ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকা করেছিল। যাতে পেলের পরের নামটা ছিল নেইমারের, যা বিতর্ক তুলেছে ব্রাজিলজুড়ে। ব্রাজিলে কিংবদন্তির তালিকা করতে গেলে তো কলমের কালি ফুরানোর দশা হবে। বিশ্বকাপজয়ীই কত খ্যাতিমান আছেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে নেইমার দুইয়ে?
নেইমার এখনও ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি। গত দুবারই করেছেন। ফলে, তাঁকে পেলের পরের আসনটা দিতে রাজি নন ব্রাজিলেরই অনেকে। হোসে মরিনহোর মতে, পেলের সমান হতে নেইমারকে ব্রাজিলের জার্সিতে জেতাতে হবে বড় কিছু।
নেইমারকে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মানেন অনেকে। কিন্তু নিয়মিত চোট তাঁকে সে খেলা দেখানোর সময় দিচ্ছে কোথায়? সঙ্গে রয়েছে অনিয়মিত ফর্ম। চোট আর অনিয়মিত ফর্মের কারণে গত মরসুমে ব্যালন ডি’অর তালিকার সেরা দশেও দেখা মেলেনি। এ বছরেও সে পথেই হাঁটছেন নেইমার। চোট কাটিয়ে ফিরতে না ফিরতেই আবারও চোটের কবলে। প্যারিসের জার্সিতে লিগ ওয়ানে যে জাদু দেখান, সে তুলনায় প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেন না চ্যাম্পিয়নস লিগে।
ফলে, পেলে আর নেইমারের মাঝখানের দূরত্ব এখনই এতটা কমে গেছে বলা হয়তো বাড়াবাড়ি। কিন্তু প্ল্যাকারের জরিপে গারিঞ্চা, জিকো, সক্রেটিস, রোনালদিনহো, রোনালদো, রিভালদোদেরও পেছনে ফেলে তালিকার দুইয়ে নেইমার। বিতর্ক তো হবেই। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে গোলের হার অবিশ্বাস্য হলেও দেশকে কেবল এনে দিতে পেরেছেন ফেডারেশনস কাপ ও অলিম্পিক শিরোপা। ২০১৮ বিশ্বকাপে তাঁর গড়াগড়ি নিয়ে খোদ ব্রাজিলেই বিরক্তিমাখা সমালোচনা। এর মধ্যে নেইমারকে সম্রাটের পাশের আসন দিয়ে দেওয়া!
পিএসজির জার্সিতে এখনো বড় কিছু করতে পারেননি নেইমার। তবে বার্সার জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। ইউরোপে ছড়ি ঘোরানোর অভিজ্ঞতা কম নেই। তবু এই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যর্থতা পিছিয়ে রাখবে অন্যদের থেকে।