রাজ্যের কৃষক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রামে সমবায় ব্যাঙ্কের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। বুধবার বালুরঘাটের নাট্যমন্দিরে এক অনুষ্ঠানে এসে একথা জানান সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়।
মন্ত্রী অরূপ রায়ের হাত দিয়ে উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম ভ্রাম্যমাণ এটিএম পরিষেবা চালু করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এবং রাজ্যের মধ্যে প্রথম সমবায় ব্যাংক হিসেবে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করল তাঁরা। এই অনুষ্ঠানে সমবায়মন্ত্রী ছাড়াও রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি, রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের ডিরেক্টর সত্যব্রত সামন্ত, জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিপ্লব খাঁ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত গ্রামে এটিএম বা ব্যাঙ্ক নেই সেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে এই ভ্রাম্যমাণ এটিএম চালু হল। ওই গাড়িতে এটিএমের পাশাপাশি পিছনে ব্যাঙ্কের একটি চেম্বার করা হয়েছে। সেখানে দু’জন কর্মীও থাকবেন। সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কী কী পরিষেবা পাওয়া যায় তা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ওই গাড়ি প্রচার করবে। পাশাপাশি যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই তাঁদের তৎক্ষণাৎ অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হবে। অনেকে এটিএমের ব্যাবহার জানেন না, তাঁদেরও এটিএমের ব্যবহার সেখানো হবে।
সত্যব্রতবাবু বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক দীর্ঘ কয়েকশো বছরের পুরনো। এই জেলায় সমবায়ের ব্যাঙ্কের মধ্য দিয়ে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছে। আগামীতে গ্রাহকদের যাতে আরও পরিষেবা দেওয়া যায় সেদিকে নজর দেওয়া হবে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও চালু হয়। এই ব্যবস্থায় গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে না গিয়ে ঘরে বসে অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। লেনদেনও করতে পারবেন। এই অনুষ্ঠানে ব্যাঙ্কের নিজস্ব ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি তপনের গুড়াইল ও গোফানগরের ব্যাঙ্কের শাখা এবং পতিরাম ও বালুরঘাটের বাজারে ব্যাঙ্কের নতুন দু’টি এটিএম কাউন্টারের উদ্বোধনও করা হয়। বালুরঘাট থেকে মালদহে ফেরার পথে মন্ত্রী গঙ্গারামপুর শহরে সমবায় দফতরের অধীনে থাকা বহুমুখী হিমঘর পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৬৭১টি গ্রামে আমরা সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালু করেছি। ভবিষ্যতে যাতে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি। কৃষক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণখাতে আরও টাকা বরাদ্দ করা হবে।