নজির গড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। রবিবার সেখানে একসঙ্গে ৩ শিশুর জন্ম দিল এক প্রসূতি। হাসপাতাল সুত্রের খবর, মা এবং তাঁর সদ্যজাত তিন সন্তান সুস্থ আছেন। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পূর্বে এমন ঘটনার হদিস মেলেনি।
চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুর জন্ম হয় প্রিম্যাচিওর অবস্থায় এবং তাঁরা বেশি দিন বাঁচেও না। তবে এক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। তিনটি শিশুই সুস্থ আছে এবং তাঁদের ওজনও স্বাভাবিক রয়েছে।
গত রবিবার ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা শ্রীপর্ণা ঘোষ হালদারের অস্ত্রোপচার হয়। তার আগে তিনি এক মাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডাঃ পার্থ মুখোপাধ্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ওই প্রসূতিকে ভর্তি করা হয় ইউনিট বি টু–তে। রবিবার এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তাঁর ডেলিভারি করেন ডাঃ অত্রি পাল এবং সহযোগিতায় ছিলেন ডাঃ অমিত কয়াল এবং ডাঃ ইন্দ্রাণু দাস–সহ চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল। ডাঃ অত্রি পাল জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে সাফল্যের হার খুবই কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩৪ সপ্তাহের আগেই ভূমিষ্ঠ হয় শিশু। খুব অল্প সময়ের জন্যই বাঁচে। এক্ষেত্রে ৩৫ সপ্তাহ সম্পূর্ণ হয়েছে। সোমবার সিজারের জন্য তারিখ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রবিবারই সিজার করা হয়। তিন শিশু ও মা সুস্থ আছেন। শিশুপুত্রের ওজন ২.৮ কেজি। ২ শিশুকন্যার ওজন ১.৭ এবং ১.৬ কেজি। জন্মানোর পরেই সদ্যোজাতদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে’। স্বভাবতই খুশি প্রসূতির পরিবার। প্রসূতির পরিবার চাইলে আজ তাঁকে ছেড়ে দিতে পারে হাসপাতাল।