দীঘার সমুদ্র সৈকত বাংলার পর্যটকদের জন্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। প্রায় সারা বছরই ভিড় জমে থাকে এখানে। তাই এবার ঘুরতে এসে যাতে খাঁটি পনির, ঘি–সহ অন্যান্য দুগ্ধজাত সামগ্রী পর্যটকরা যাতে বাড়ির জন্য নিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সরকারের উদ্যোগেই সৈকত শহর দীঘায় পনির প্ল্যান্টের পাশাপাশি খাঁটি ঘি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে তাম্রলিপ্ত সমবায় দুগ্ধ উৎপাদক সঙ্ঘ লিমিটেড (তামুল)।
ভাগাড় কাণ্ডের পর থেকেই দুগ্ধজাত সামগ্রী কেনার প্রবণতা বাড়ছে মানুষের। আর চাহিদার কারণে প্রবণতা বাড়ছে দুধে ভেজাল দেওয়ারও। আর সেই কারণে ন্যায্য দামে ভেজালহীন পনির আর দুগ্ধজাত সামগ্রী মানুষকে উপহার দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্য মৎস্য ও প্রাণী বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল গাইড লাইন অনুযায়ী এই পনির প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে দীঘার চাপাবনিতে। মোট এক হাজার স্কোয়্যার ফুট এলাকায় এই প্ল্যান্ট তৈরির জন্য দীঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ জমি দিয়েছে তামুলকে। প্ল্যান্ট তৈরিতে প্রথম দফায় খরচ হবে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি প্ল্যাট তৈরি প্রস্তাব পাশ করে প্রয়োজনীয় টাকা জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শুরুও হয়েছে প্ল্যান্ট তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস বলেন, ‘দীঘায় মিল্ক পার্লার ও পনির প্ল্যান্টের জন্য রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার জমিতে এই প্ল্যান্ট তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদন শুরু হলে জেলাবাসী নায্যমূল্যে খাঁটি পনির ও দুগ্ধজাত সামগ্রী কিনতে পারবেন। যেখানে ভেজালের কোনও ভয় থাকবে না। ফলে জেলায় ভেজাল পনির ও দুগ্ধজাত সামগ্রী কেনার ভয় থাকবে না ক্রেতাদের।’
তামুলের এমডি দেবাশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, পনির প্ল্যান্টে প্রথম দফায় প্রতিদিন গড়ে ২০০ কেজি পনির তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এর জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হবে প্রায় ১০০০ লিটার দুধ। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দীঘায় মিল্ক পার্লারও খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই পনির প্ল্যান্টের উৎপাদন শুরু করার লক্ষ্যে জোর কদমে প্রস্তুতিও শুরু করা হবে।