মতুয়া সমাজ ২০১১-র পর থেকে এত দিন ছিল তৃণমূলেরই দুর্ভেদ্য দুর্গ। ঠাকুরবাড়ি থেকে মন্ত্রী এবং সাংসদও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বাংলায় বিজেপির খুঁটি ততই নড়বড়ে হচ্ছে৷ নিজেদের হাল ফেরাতে তাই এবার মতুয়া সমাজে নজর পড়েছে তাঁদের৷ সেই কারণেই কয়েকদিন আগেই সেখানে সভা করে গেছেন মোদী৷ অন্যান্যবারের মতই এবারেও ফের বিজেপির কূট চাল ব্যর্থ হয়ে গেছে তৃণমূলের সত্যের শক্তির কাছে৷ বুধবার দুপুরে ঠাকুর নগরে সভা করে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল মতুয়া সমাজ আস্থা রাখছে তাদের ওপরেই৷
বুধবার দুপুরে ওই সভায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মোদীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “এটা কোনও পাল্টা সভা নয়। আমরা পাল্টা সভায় বিশ্বাস করিনা”৷ তিনি আরো বলেন, ” আমাদের দলে আগে ছিল। এখন বিজেপিতে গিয়েছে। কী নাম জানেন? গদ্দার রায়। ওই গদ্দার রায় মতুয়া ভোট নেওয়ার জন্য মোদীকে এনেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হবে না। বনগাঁর উপনির্বাচনে আপনারা মমতা ঠাকুরকে জিতিয়েছিলেন দু’লাখ ১১ হাজার ভোটে। এ বার মার্জিনটা আরও এক লাখ বাড়িয়ে দিতে হবে। তিন লাখ ১১ হাজার ভোটে জেতাতে হবে।”
সভায় বক্তৃতা দেন রাজ্যের পুর ও নগোরন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, “যত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই নরেন্দ্র মোদী থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছেন।”
ফিরহাদ হাকিম থেকে মদন মিত্র, সুজিত বসু থেকে ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন ঠাকুর নগরের সভায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের বক্তৃতা শেষে স্লোগান দিয়ে “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। হরিচাঁদ ঠাকুর জিন্দাবাদ। গুরুচাঁদ ঠাকুর জিন্দাবাদ। বড় মা বীণাপাণিদেবী যুগ যুগ জিও।”