মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নামঞ্চে চলে গিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। সেখানে তিনি মহাজোটের তরফে মমতাকে ধর্না প্রত্যাহার করার অনুরোধ করার পরই ধর্না প্রত্যাহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল সত্যাগ্রহের মঞ্চে দাঁড়িয়েই চন্দ্রবাবু বলেন, ‘গোটা দেশ জুড়ে বিরোধীদের মেরুদণ্ড ভাঙতে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। বাংলার ঘটনা তারই অংশ।’
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেন, বাংলার ৪২টি আসনেই তৃণমূলকে জয়ী করুন। আগামী দিনে তৃণমূলই হবে নির্ণায়ক শক্তি। তাঁর স্পষ্ট কথা, এই নির্বাচনে দেশকে বাঁচাতে বিজেপিকে হঠাতে হবে। পরাস্ত করতে হবে মোদীকে। মমতার সত্যাগ্রহকে সমর্থন জানিয়ে চন্দ্রবাবু বলেন, ‘২৩টি দলের প্রতিনিধিরা মমতার ডাকা ব্রিগেডের ঐতিহাসিক সভায় হাজির ছিলেন। ওই সভা থেকেই ইউনাইটেড ইন্ডিয়া তৈরি করার বার্তা দেওয়া হয়। আমরা একসঙ্গে বিজেপিকে হঠানোর জন্য লড়াই করছি। সকলেই মমতার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁকে ছাড়া লড়াই সম্ভব নয়। তিনি এক নতুন পথ দেখিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘আমরা মনে করি, গণতন্ত্র বিপন্ন। এই সরকার ফিরে এলে দেশে আরও সর্বনাশ নেমে আসবে। তাই গণতন্ত্র বাঁচাতে, নতুন ভারত তৈরি করতে মোদীকে হঠানো প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে চন্দ্রবাবুর কটাক্ষ, ‘সকলেই অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত। আর ওঁরা দু’জনই শুধু সৎ, ওঁদের দুর্নীতি নেই। একথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করবেন না।’ শাহর ছেলের প্রসঙ্গ তুলেও খোঁচা দেন তিনি। বলেন, ‘তিনি কী করেছেন, তা সকলেই জানেন।’
এর পাশাপাশি বাংলার উন্নয়নের কান্ডারী মমতার সমর্থনে চন্দ্রবাবু বলেন, ‘বাংলার উন্নয়ন করে চলেছেন মমতা। আর সেই উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। ক্রমাগত তাঁকে নানা ইস্যু নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এর আগে কোনও একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে হয়রানি হতে আমি দেখিনি।’ বাংলার মা-মাটি-মানুষের কাছে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘মমতার হাত শক্তিশালী করুন। ৪২টি আসনেই তৃণমূলকে জয়ী করুন।’