গতকাল কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার সামর্থ নেই মোদী-শাহের। ব্রিগেডের সভার দিনই সিবিআই অফিসারদের ডেকে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কিছু করো। সিবিআইকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি। সাংবিধানিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছে ওরা। গায়ের জোরে জরুরি অবস্থার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’ দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন তিনি।
এরপর ধর্নামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন মমতা। তবে শুধু মমতাই নন, রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় দেশের প্রায় সবকটি বিরোধী দলই। মমতার পক্ষ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল থেকে শুরু করে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। মুখ খোলেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল, মায়াবতী— একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সমর্থন পান মমতা। আর সবশেষে প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রবিবার সন্ধ্যায় টুইটে রাহুল লিখেছেন, আমি মমতাদির সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে জানিয়েছি যে আমরা তাঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর মোদী ও বিজেপি যে আঘাত করছে, বাংলার ঘটনাও তারই অঙ্গ। এর পাশাপাশি রাহুল জানান, বিরোধীরাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির মত স্বৈরাচারী সরকারের মোকাবিলা করে তাদের পরাস্ত করবে। রাহুলের পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে আহমেদ প্যাটেলও সমর্থন জানান মমতাকে। বিরোধীরা একজোট হয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সে কথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘সবাই বলছেন তাঁরা সঙ্গে আছেন।’