২০০৮ সাল। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনডিএফবির ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল আসাম। কম করে ১৮বার বিস্ফোরণে কেঁপে গিয়েছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। যার ফলে মৃত্যু ঘটেছিল মোট ৮৮ জনের। আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেই ভয়ঙ্কর আসাম বিস্ফোরণ(২০০৮) মামলায় এবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল জঙ্গী নেতা রঞ্জন দৈমারির। বাংলাদেশে দীর্ঘসময় ধরে আত্মগোপনে ছিল সে।
প্রশ্ন উঠছে, এরপর কি ফের অশান্ত হবে আসাম। কারণ বোড়োল্যান্ডের পক্ষে থাকা সশস্ত্র সংগঠন এনডিএফবি(সংবিজিৎ) গোষ্ঠী এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। এবার তাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার চূড়ান্ত শাস্তি হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও গরম হতে শুরু করেছে। এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ চলছে আসামে। তার মাঝে রঞ্জন দৈমারির মতো জঙ্গি নেতার শাস্তিকে ইস্যু করে বোড়ো সংগঠনগুলি হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ফলে আসাম জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
বুধবার সিবিআই বিশেষ আদালত জঙ্গি নেতা তথা এনডিএফবি (ন্যাশনাল ডেমোক্ৰ্যাটিক ফ্ৰন্ট অফ বোড়োল্যান্ড) চেয়ারম্যান রঞ্জন দৈমারিকে সাজা দেয়। সাজা হয়েছে জঙ্গি সংগঠনটির আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতারও। সাজাপ্রাপ্তরা হল- অজয় বসুমাতারি ওরফে ওয়াগাই,রাহুল ব্ৰহ্ম ওরফে খর্গেশ্বর ব্ৰহ্ম,রাজেন গয়ারি ওরফে রিফি খাং,মথুরাম ব্ৰহ্ম,রাজু সরকার,প্ৰভাত বোড়ো ওরফে থাপা,আনচাই বোড়ো ওরফে অজিত বোড়ো,নীলিম দৈমারি,ইন্দ্ৰ ব্ৰহ্ম,লকরা বসুমতারি,জয়ন্তী ব্ৰহ্ম ওরফে যুগমি এবং বিথরাই ওরফে বৈশাগি, জর্জ বোড়ো ওরফে বি জোয়াংখান।