গান্ধী আমাদের জাতির জনক। গান্ধীর ছবি আমাদের সব নোটে দেখতে পাওয়া যায়। গান্ধীর নামে রাস্তা, ঘাট, কলতলার ও নাম হয়। গান্ধী পদবী ব্যবহার করে অনেকে অনেক কিছু গুছিয়ে নিতে পারেন এ দেশে। গান্ধী টাকমাথা, সাদা পোষাক, গোল চশমা।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ছিলেন একজন মৌলবাদী যার সাথে চরমপন্থী হিন্দু মহাসভার যোগাযোগ ছিল।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীকে আবার গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এবার পাখিমারার পিস্তল দিয়ে। হত্যা করছেন আলিগড়ের হিন্দু মহাসভা নেত্রী পূজা পান্ডে৷ উনি প্রতিবারের মতো এবার ও উদযাপন করলেন গান্ধী হত্যা। পরে নাথুরাম গডসেকে পুজো ও করা হয়। প্রতিবারের মতো।
এটা এ বছর প্রথম না৷ প্রতিবার এটাই হয়ে আসছে। এ বছর এই ছবি, এই ভিডিও বীরের মতো ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা।
এরপর ও ভাববেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদের থেকে “আজাদি” চেয়ে স্লোগান দিলেই দেশদ্রোহিতা হয়?
রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে খিল্লি করে ফেসবুক কার্টুন আঁকা মানেই দেশদ্রোহিতা? সরকারের সমালোচনা মানেই দেশদ্রোহিতা?
©—- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ