এবার যোগী সরকারের ‘ঠোক দো’ নীতির বলি হলেন উত্তরপ্রদেশের এক কনস্টেবল। এনকাউন্টার অভিযান চলার সময় দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ হারান হর্ষ চৌধুরি নামে বছর ছাব্বিশের ওই কনস্টেবল। গুরতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ উত্তর প্রদেশের আমরোহায় এক দাগী অপরাধীর আত্মগোপনের খবর আসে পুলিশের কাছে। ১৯টি মামলা চলছে ওই অপরাধীর বিরুদ্ধে। ফলে খবর পেয়েই আমরোহা থানার একটি দল এনকাউন্টার অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওই দুষ্কৃতীকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের আবেদনে সাড়া না দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে সে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ই গুলি লেগে গুরুতর জখম হন হর্ষ। পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় শিবাবতার নামে ওই দুষ্কৃতীরও।
যোগীর ঠোক দো নীতি বহুদিন থেকেই সরব বিরোধীরা। এমনকি খোদ সুপ্রিম কোর্টও উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি জানিয়েছে, এ বিষয়ে গুরুত্ব বিবেচনা করা দরকার। ফলে বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি নিহত কনস্টেবলের স্ত্রীকে ৪০ লক্ষ টাকা এবং তাঁর মা-বাবাকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করে যোগী সরকার। পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে বই কমেনি।
বিরোধীদের অভিযোগ, যোগী ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের এনকাউন্টারের ঘটনা বহুলাংশে বেড়েছে। কমপক্ষে ৩ হাজার এনকাউন্টার অভিযান চালানো হয়েছে যোগীর শাসনকালে। এবং তাতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৮ জনের। ছাড় পাননি পুলিশ আধিকারিকরাও। হর্ষকে নিয়ে যোগীর রাজ্যের মোট ৭ জন পুলিশের প্রাণ গেছে এনকাউন্টারে। ফলে ‘ঠোক দো’ নীতি নিয়ে নতুন করে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে যোগী।




