বাংলার কৃষকদের সাহায্যের জন্য মমতা সরকারের অন্যতম প্রকল্প কৃষকবন্ধু৷ এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার কৃষকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নবানন। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও হুগলী এই তিন জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্নে একটি বৈঠকও হয়। সেখানেই কৃষকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানান, সাধারণ রবি ও বোরো মরশুমের আগে এই কৃষি সহায়ক অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ৩১ ডিসেম্বর, তাই নভেম্বর মাসে যে অর্থ দেওয়ার কথা তা দেওয়া শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়া হবে ১ জুন থেকে। কোথাও যাতে ভুয়ো চাষির নাম নথিভুক্ত না হয়, পাশাপাশি প্রকৃত কৃষকরাই যাতে এই সুযোগ পান এবং কীভাবে চাষিদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে, সেই বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রদীপবাবু জানান, চাষিদের নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চাষিকে একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ওই কার্ডেই চাষিদের সমস্ত বিবরণ নথিভুক্ত থাকবে। ফলে প্রত্যেকবার তাঁদের কাগজপত্র আনার প্রয়োজন হবে না। পরবর্তীকালে এই স্মার্ট কার্ড দেখিয়েই সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পাবেন চাষিরা।
ইতিমধ্যেই জেলা কৃষি দফতরগুলি থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত শ্রেণির নথিভুক্ত চাষিদের জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ঘোষণা করছেন। প্রদীপ বাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই প্রাপ্তবয়স্ক যারা নথিভুক্ত কৃষক তাঁরাই এই মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। যে সমস্ত কৃষকের নিজস্ব নথিভুক্ত জমি রয়েছে এমনকি বর্গাদার চাষিও তাঁদের নথি দেখালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।