শনিবারের ব্রিগেডে বাংলার অগ্নিকন্যা থেকে দেশনেত্রী হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা রেকর্ড গড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক লাইভের জনপ্রিয়তায় আরও একবার ছাপিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদীকে।
শনিবার দুপুরে ব্রিগেড সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শক্তির সর্বময় নেত্রী হিসাবে আবির্ভূত হলেন। আর ঠিক সেই সময় নিজের রাজ্য গুজরাটে লার্সেন অ্যান্ড টুর্বোর হাউৎজার কামানের কারখানা উদ্বোধন করে ট্যাঙ্কে চড়ে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের দুই প্রান্তের দুটি অনুষ্ঠানই সরাসরি এসেছে ফেসবুক লাইভে। আর সেখানেই জনপ্রিতার নিরিখে মোদীকে দশ গোল দিলেন মমতা। যেখানে তৃণমূল নেত্রীর অনুষ্ঠান সরাসরি দেখলেন ১৬ হাজার মানুষ, সেখানে মোদীর দর্শক সংখ্যা থেমে গেল ১.২ কে-তেই।
সারা দিনেও মমতাকে ছুঁতে পারেননি মোদী। কামান উঁচিয়েও সুবিধে করতে পারেননি মমতার নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে। দিনের শেষে রাত বারোটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঐতিহাসিক ব্রিগেডের ফেসবুক লাইভ পৌঁছেছে ১.২ মিলিয়ন দর্শক সংখ্যায়। সেখানে নরেন্দ্র মোদী আটকে আছেন ৮৬ হাজারে।
এদিন কলকাতার ব্রিগেডে সামিল হয়েছিলেন হিন্দী বলয়ের প্রথম সারির বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা৷ অখিলেশ সিং যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগুন ঝরা ভাষণ বা উর্দু-হিন্দি মিশ্রিত কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লার ভাষণে জনতা উদ্বেলিত হয়েছেন৷ এসবের মাঝেই মঞ্চ পরিচালনায় মাঝে মধ্যে মমতা মাইক ধরেছেন৷ ভাঙা হিন্দীতেই বলেছেন। তাতেই অতিথি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মুগ্ধ৷
আর এখান থেকেই তৃণমূল নেত্রীর পরিচয় পাল্টে যাচ্ছে। যে বাংলায় তিনি প্রবল বিরোধী নেত্রী থেকে অগ্নিকন্যা রূপে পরিচিত হয়েছিলেন৷ সেই বাংলা থেকেই দেশনেত্রীর তকমা পেয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সেটাকে স্বীকৃতি দিল ভার্চুয়াল দুনিয়ার দর্শকেরাও।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও দুর্গাপুজোর কার্নিভাল কিংবা বাড়ির কালীপুজোর আরতির ফেসবুক লাইভে দর্শকসংখ্যার বিচারে মমতা অনায়াসে টপকে গেছেন মোদীর ফেসবুক লাইভকে। আমজনতা হামলে পড়ে মোদীকে ছেড়ে মমতাকে ধরেছেন। শনিবারের ব্রিগেডের ফেসবুক লাইভেও আবার সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি হল। আর আঞ্চলিক নেত্রী থেকে দেশনেত্রী হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।