একমাত্র তিনিই পারেন সব রং-কে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে দেশকে নয়া দিশা দেখাতে, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে গতকালই। শনিবার বিরোধী ঐক্যের প্রথম বৃহত্তম সমাবেশের আয়োজন তো করলেনই। বারবার উঠতে থাকা অস্বস্তিকর রাজনৈতিক প্রশ্নটার জবাবও খুব স্পষ্ট করে দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হিসেবে কোন মুখটাকে তুলে ধরবে সম্মিলিত বিরোধী শিবির? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে মমতার দ্ব্যর্থহীন জবাব, ‘কে প্রধানমন্ত্রী হবে ভাবার কোনও দরকার নেই। নির্বাচনের পরে আমরা সবাই মিলে ঠিক করব, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপি বিরোধী প্রায় সব শক্তির মধ্যে সমঝোতা তৈরির প্রয়াস বছর খানেক ধরেই চলছে। কখনও অখিলেশ বা কেজরীবালের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছেন লখনউ বা দিল্লিতে। কখনও সনিয়া গান্ধীর ডাকে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছে বিভিন্ন বিরোধী দল। কখনও চন্দ্রবাবু নায়ডু সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু বিজেপি বিরোধী প্রায় সব দলকে এক মঞ্চে এনে এত বড় প্রকাশ্য সমাবেশ এই প্রথম। এই প্রথমবার এত বড় কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দিল। আর এর পুরো কৃতিত্বই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দিলেন ব্রিগেডে উপস্থিত দেশের সকল শীর্ষনেতাই।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া থেকে মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার, লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে তেলুগু দেশম সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল থেকে ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন— প্রত্যেকে এ দিন মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁরা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন মমতার মহিমার কথা। ধন্যবাদ ও অভিনন্দনে ভরিয়ে দিলেন তাঁকে। সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব আবার একধাপ এগিয়ে খুব স্পষ্ট করে বলে দিলেন, ‘বাংলা থেকে আজ যা শুরু হল, গোটা দেশে এ বার তা-ই চলবে।’ আর এরমাঝেই আত্মপ্রত্যয়ী মমতা বললেন, ‘মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে।’