‘২০১৯-এর ভোট প্রধানমন্ত্রী তৈরির নয়, মোদী-অমিত শাহকে তাড়ানোর ভোট৷’ শনিবার ব্রিগেডের মঞ্চে একথা বলেন আম আদমি পার্টি প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গেরুয়া শিবিরের ‘পোস্টার বয়’ মোদী ও ‘চাণক্য’ অমিত শাহের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কেন ১৯শের ভোটের গুরুত্ব অন্যরকম? কেজরিওয়ালের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী বাছার জন্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচন হবে না৷ এবার ভোট হবে কেন্দ্র থেকে মোদী ও অমিত শাহ জুটিকে তড়ানোর জন্য৷’ বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন দেশের অর্থনীতির কথা৷ তিনি বলেন, ‘জিএসটির ফলে ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের৷ দেনার দায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা৷ কমে কৃষি গিয়েছে উৎপাদন৷ ভ্রুক্ষেপ নেই বিজেপি সরকারের৷’ ভোটের আগে দলিত দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন আপ প্রধান৷
মোদী ফের ক্ষমতায় ফিরে এলে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিভেদ ছড়িয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, ‘সাত দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান পাড়েনি৷ কিন্তু দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে সচেষ্ট মোদী৷ আর পাঁচ বছর থাকলে সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে গোটা ভারত৷’
প্রধানমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘গেরুয়া শিবিরের এই দুই প্রদান মুখ যাই করে তার পিছনে থাকে ষড়যন্ত্র৷’ তাঁর আশঙ্কা, ফের ভোট জয় পেলে সংকীর্ণ স্বার্থে দেশের সংবিধান বদলে দিতেও পিছপা হবে না বিজেপি৷ একদিকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতার বিভেদের অস্ত্রেই ব্রিগেডের ঐতিহাসিক ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ব়্যালি থেকে মোদী সরকারকে পরাস্তের বার্তা দেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো৷