ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির লড়াই নয়। ২০১৯-এ মিথ্যের বিরুদ্ধে সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই। শনিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের মহাসমাবেশ থেকে এভাবেই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের সুর তুললেন একদা মোদী শিবিরের ঘনিষ্ঠ দুই সেনাপতি। আর প্রাক্তন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরির এধরনের বক্তব্য বিরোধী শিবিরকে আরও চাঙ্গা করে তুলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
যশবন্ত সিনহা ভাষণ দিতে উঠে রীতিমতো মোদীকে ঠুকে বলেন, ‘এই মিছিল দেখে ওরা বলবে, একজনকে সরানোর জন্য এত লোক কেন? আমি বলতে চাই, এটা কোনও ব্যক্তি কেন্দ্রিক লড়াই নয়। এই লড়াই একটি বিচারধারার। আর আমরা মোদীর বিচারধারার বিরুদ্ধে লড়ছি। আজ দেশে এমন কোনও সাংবিধানিক সংস্থা নেই, যাকে ইনি শেষ করার পথে নিয়ে যাননি। তাই দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য আমরা একত্রিত হয়েছি। সরকারের বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহী বলে দেওয়া হচ্ছে। জীবনের উদ্দেশ্য একটাই, মোদীকে সরকার থেকে সরানোর।
আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি বলেন, ‘এত বড় মিথ্যের সরকার আগে হয়নি। সিবিআই, আরবিআইয়ের মতো সব স্বশাসিত সংস্থাকে নিজের কবজায় আনতে বদ্ধপরিকর। এত কেলেঙ্কারি আগে হয়নি। নোটবাতিলের মতো সর্বনাশা সিদ্ধান্ত এর আগে কেউ নেয়নি। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে যেমন ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে, তেমনই এবারের ভোটেও এদের ভাগিয়ে দিতে হবে। এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ান ইজ টু ওয়ান ফর্মুলাকে গ্রহণ করে অরুণ শৌরির আরও পরামর্শ, ‘বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে একজনই বিরোধী প্রার্থীর লড়াই করা উচিৎ। মোদী-শাহর জুটির উপর থেকে সকলের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। সবাইকে এককাট্টা হয়ে লড়াই করতে হবে। আর বিজেপি বিরোধীদের এই একজোট করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়, যথাযথ। সবার কাছে যেতে হবে, সবাইকে বোঝাতে হবে যে আমরা এক আছি, এক থাকব।’
ব্রিগেডের এই মঞ্চে বিজেপি বিরোধী সবকটি দলের অন্তত একজন করে প্রতিনিধিকে একত্রিত করে সেই কাজে সাফল্যের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এর মধ্যে অরুণ শৌরি, যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহাদের সমাবেশে যোগ দিয়ে সরকার বিরোধী বার্তা নিঃসন্দেহে লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
![মমতার ১:১ ফর্মুলাতেই বিজেপির হার নিশ্চিত - যশবন্ত সিনহা](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/01/2b406d53-e10c-4a20-9e2b-b1f9e09e1101.jpg)