নারীর সমানাধিকারের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুধু একা বিন্দু বা কনক দুর্গা নন তাদের মতো আরও ৪৯ জন ঋতুমতী মহিলা রক্ষণশীল সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছে৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে লিখিত ভাবে এই চমকপ্রদ তথ্য দিল কেরল সরকার৷ রাজ্য সরকারের তরফে প্রবীণ আইনজীবী বিজয় হানসারিয়া শীর্ষ আদালতের হাতে সেই ৫১ জন মহিলার তালিকা তুলে দেন৷
অন্যদিকে শবরীমালায় প্রবেশ করা দু মহিলাকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। আজ শুক্রবার কেরালা সরকারকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২ জানু্য়ারি শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন কনক দুর্গা এবং বিন্দু আম্মিনি নামে দুই মহিলা। তারপর থেকেই তাঁদের ওপর নানারকম নির্যাতন ও অত্যাচার নেমে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে তাঁদের ২৪ ঘন্টা পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বিন্দু আম্মানি ও কনকদুর্গা নামের দুই মহিলা কেরলের কান্নুর জেলার বাসিন্দা। তাঁরা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। তখন তাঁরা মন্দিরে প্রবেশের দাবিতে অনশনে বসেন। মন্দিরে প্রবেশ করার ঘটনায় কনক দুর্গার ওপরে আক্রমণ করেন তাঁর শাশুরি। তখন তিনি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকী তাঁদের মন্দিরে প্রবেশের কারণে পুরোহিত নিয়ম মেনে মন্দিরের শুদ্ধিকরণ করতে শুরু করেন। এই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। এটাই নিয়ম ছিল। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খারিজ হয়ে যায়।
এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়। মন্দিরে কেন তাঁরা প্রবেশ করেছেন তা নিয়ে চলে বিস্তর জলঘোলা। পরিবার ও সমাজ তাঁদের ওপর নানারকম অত্যাচার করতে শুরু করে। যার ফলে এদিন পিনারাই বিজয়ন সরকারকে এই দুই মহিলার নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।