সাল ২০১৬। জুন মাস। ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচের দায়িত্বে এসেছিলেন অনিল কুম্বলে। শচীন–সৌরভ–লক্ষ্মণরাই বিরাটদের হেড কোচ হিসেবে কুম্বলেকে নির্বাচিত করেছিলেন। তারপর টানা এক বছর কোহলি–কুম্বলে জুটিই দেশকে নানা সাফল্য এনে দিয়েছেন। ভারত একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছে। পরপর টেস্ট সিরিজ জয়। ব্যর্থতা বলতে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হার। এরপরেই কাউকে কিছু না জানিয়ে বোর্ডকে ইমেল করে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন কুম্বলে। পরে জানা যায়, বিরাটের সঙ্গে মতের মিল হচ্ছে না বলেই সরে দাঁড়িয়েছেন কুম্বলে। পদত্যাগের বিষয়ে কোহলি নিজে কিছু না জানালেও কুম্বলে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন, অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর কাজের অমত হওয়াতেই তিনি পদ ছাড়ছেন।
তাঁর পদত্যাগের পর ভারত কোচহীন ভাবেই ক্যারিবিয়ান সফর করে এবং জেতেও। পরে বিরাট কোহলির পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে রবি শাস্ত্রীকে সেই পদে বসিয়ে দেয় বিসিসিআই। যদিও সেই সময়ও একটি সংঘাত তৈরি হয়েছিল। এমনও শোনা যায়, সৌরভ চাননি শাস্ত্রী ভারতীয় দলের হেড কোচ হন। এরপর বিরাটের মতকে গুরুত্ব দিয়েই রবি শাস্ত্রীকে কোচের পদে আনা হয়। এই ঘটনার দেড় বছর পর মুখ খুললেন বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য ভিভিএস লক্ষ্মণ। তাঁর কথায়, কুম্বলেকে কেউ পদচ্যুত করেনি। বিরাট কোহলির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েও লক্ষ্মণ বলেন, ‘অনিল কুম্বলেকে কেউ পদচ্যুত করেনি। একটা মতানৈক্য হয়েছিল বটে। কোহলি যেমন কুম্বলের কোচিং স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিল না। বিসিসিআই তখন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিকে সেই সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথাও বলেছিল। আমরা মনে করেছিলাম অনিল দারুণ কাজ করেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হল যে অনিল পদত্যাগ করতে বাধ্য হল। আমি ওর জায়গায় থাকলে একই কাজ করতাম।’