আগামীকাল ১৯শে জানুয়ারি তৃণমূলের ঐতিহাসিক ব্রিগেডে হাজির থাকছেন দেশের একঝাঁক শীর্ষনেতা তথা ভিভিআইপিরা। সেই সঙ্গে উপস্থিত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ। তাঁদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেজন্য শহর জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করল কলকাতা পুলিশ। এমনকি অন্য রাজ্য থেকে আসা ভিভিআইপিদের যদি কোনও কারণে আসতে দেরি হয়ে যায় বা কোনও কারণে দ্রুত বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তারজন্য তৈরি রাখা হচ্ছে চপার ও হেলিপ্যাডও।
আজ, শুক্রবার থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় কড়াকড়ি থাকছে। শনিবার সকাল থেকে থাকবেন ১০ হাজার পুলিশকর্মী, ৮ উপনগরপাল যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। এ বিষয়ে নগরপাল রাজীব কুমার জানান, ‘শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পণ্যবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, এজেসি বোস রোড, হসপিটাল রোড, হেস্টিংস রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, কুইন্স রোড, ক্যাসুরিনা অ্যাভেনিউ, লাভার্স লেনে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।’
ব্রিগেডে প্রচুর মানুষের সমাগম হবে ধরে নিয়েই সেই মতোই পরিকল্পনা তৈরি করেছেন লালবাজারের কর্তারা। যেহেতু সভায় একাধিক ভিভিআইপি থাকছেন, তাই তাঁদের নিরাপত্তায় আলাদা একটি সেল খোলা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবেন। এরজন্য মঞ্চের আশপাশে রাখা হচ্ছে কমান্ডো ও র্যাফ। ড্রোনের মাধ্যমেও উপর থেকে চালানো হবে নজরদারি।
লালবাজার সূত্রে খবর, আজ বিকেল থেকেই ব্রিগেডের দায়িত্ব ১ উপনগরপাল ও ২ সহকারী নগরপালের। যেহেতু ইতিমধ্যেই সমাবেশের জন্য সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন, তাই আজও নির্দিষ্ট সংখ্যায় পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। ২৪ ঘণ্টাই থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স। লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে চলবে নজরদারি। এছাড়া ব্রিগেড চত্বরে এবং বাইরে বাইরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও থাকছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি। থাকছে ২০০-র বেশি পুলিশ পিকেট।
অন্যদিকে, ব্রিগেডের জন্য সব রকম পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভাও। গতকালই এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। জানা গেছে, সমাবেশের জন্য ১২৫ টি জায়গায় পানীয়জলের গাড়ি রাখছে পুরসভা। থাকছে ৮০টি বায়ো-টয়লেট। ব্রিগেড প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল পুরপ্রশাসন। বৈঠকে ছিলেন নিকাশি, জল,কঠিন ও বর্জ্য, বস্তু ও পরিবেশ, উদ্যানবিভাগের পদস্থ আধিকারিকরা। সেখানেই ঠিক হয় সমাবেশের আগে ও পরে শহর পরিষ্কার রাখতে হবে। মাঠে ধুলাের সমস্যা সমাধানে জল ছিটিয়ে পরিষ্কার করা হবে। মূল সমাবেশের কাছে পিঠে বসাতে হবে বায়ো-টয়লেট।