শনিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ। যাতে হাজির থাকবেন দেশের একঝাঁক শীর্ষনেতা তথা ভিভিআইপিরা। সেই সঙ্গে যোগ দেবেন গোটা রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ। তাঁদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেজন্য শহর জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করছে কলকাতা পুলিশ। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে আগামীকাল সকাল থেকে আকাশপথে নজরদারি চালাবে লালবাজারের আকাশযান ‘দুর্দান্ত’। নজরদারি চলবে কলকাতা পুলিশের আরও পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমেও।
জানা গেছে, আগামীকাল সকাল থেকেই ব্রিগেড সমাবেশের যাবতীয় ছবি ক্যামেরায় লেন্সবন্দি করে প্রতি মুহূর্তে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেবে ‘দুর্দান্ত’। সেসব ছবি দেখে ব্রিগেড সমাবেশে পুলিশি ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে লালবাজার। শনিবার সকাল থেকে থাকবেন ১০ হাজার পুলিশকর্মী, ৮ উপনগরপালও। যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। যেহেতু সভায় একাধিক ভিভিআইপি থাকছেন, তাই তাঁদের নিরাপত্তায় আলাদা একটি সেল খোলা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবেন। মঞ্চের আশপাশে রাখা হচ্ছে কমান্ডো ও র্যাফ।
লালবাজার সূত্রে খবর, আজ বিকেল থেকেই ব্রিগেডের দায়িত্ব ১ উপনগরপাল ও ২ সহকারী নগরপালের। এছাড়া সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে থাকছে ৬টি ওয়াচ টাওয়ার। সেখানে উঠে নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। প্রস্তুত কলকাতা পুলিশের ১৫টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। ব্রিগেডে আসা মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকছে ২০০টিরও বেশি পুলিশ পিকেট। থাকছে পুলিশের ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। যেহেতু ইতিমধ্যেই সমাবেশের জন্য সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন, তাই আজও নির্দিষ্ট সংখ্যায় পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। ২৪ ঘণ্টাই থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মিছিল ব্রিগেডে পৌঁছে গেলে যানজট অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। ব্রিগেডমুখী মিছিল আসবে হাওড়া ব্রিজ, শিয়ালদহ, পার্ক সার্কাস, শ্যামবাজার, খিদিরপুর সহ ৬টি পয়েন্ট থেকে। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (সদর) জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, ‘ব্রিগেডে আসা গাড়ি বা বাসগুলি পার্কিং করার জন্য ময়দানের ফাঁকা মাঠগুলিকে ঠিক করা হয়েছে। মাঠ ভর্তি হয়ে গেলেই বিভিন্ন রাস্তায় সেই সমস্ত গাড়ি বা বাসগুলি আটকে দেওয়া হবে। তখন গাড়ি বা বাস থেকে নেমে ব্রিগেড পর্যন্ত হেঁটে যেতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আজ থেকেই বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে পুলিশি নজরদারি থাকছে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলেও। এ বিষয়ে নগরপাল রাজীব কুমার জানান, ‘শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পণ্যবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, এজেসি বোস রোড, হসপিটাল রোড, হেস্টিংস রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, কুইন্স রোড, ক্যাসুরিনা অ্যাভেনিউ, লাভার্স লেনে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।’