নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আসাম বিজেপির অন্দরেই প্রবল অসন্তোষ। একের পর এক বিজেপি নেতা ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছেন। একাধিক বিধায়কের দল ছাড়ার সম্ভাবনাও উসকে উঠেছে। সব মিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে আসামের রাজ্য বিজেপি।
বিলের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক দেবানন্দ হাজারিকা৷ তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু করতে পারি না যা আসামবাসীর স্বার্থে আঘাত করে৷ এই বিল অসমবাসীর বিরোধিতাকেই প্রকট করছে৷ আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যাতে তিনি এই বিল প্রতিরোধ করেন৷ অপর বিধায়ক ঋতুপর্ণা বড়ুয়া জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে জনগণের মতামত সবথেকে গুরুত্ব পায়৷ যখন আসামবাসী বিলের বিরোধিতা করছে, তখন আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো৷ এঁদের সঙ্গেই সুর মিলিয়েছেন দিসপুরের বিজেপি বিধায়ক অতুল বোরা। তাঁর কথায়, ‘আমি বার বার বলে আসছি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অসমের জন্য অশনি সংকেত বয়ে আনছে৷ এই বিল প্রণয়নের কোনও কারণ নেই’। এই সপ্তাহের শুরুর দিকেই লাহোয়ালের বিজেপি বিধায়ক ঋতুপর্ণা বরুয়া এবং সুটিয়ার বিধায়ক পদ্মা হাজারিকাও এই বিলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ঋতুপর্ণা বরুয়া যেখানে বলছেন, এই বিল অবৈধ অভিবাসীদের মর্যাদা দেবে। অন্যদিকে পদ্মা হাজারিকা বলছেন, অনুপ্রবেশকারীদের জন্য অসম চুক্তিতে থাকা ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ দিনটিকেই সমর্থন করছেন।
আসাম ছাড়া ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়তেও ক্ষোভ তুঙ্গে৷ বিলটির প্রতিবাদে গত ৮ জানুয়ারি বনধ চলাকালীন ত্রিপুরায় উপজাতি বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালায় পুলিশ৷ এতে এই রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা অগ্নিগর্ভ৷ অন্যদিকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা সরাসরি বিজেপির জোট ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন৷ অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগাং আপাং কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন৷