কেটে গেছে দিন কয়েক। ইতি তো পড়েইনি। বরং এখনও রমরমিয়ে চলছে কর্ণাটকের কুর্সি নিয়ে রাজনৈতিক যাত্রাপালা। গতকালই এইচ ডি কুমারস্বামীর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিলেন দু’জন নির্দল বিধায়ক। আর আজ হঠাতই ফিরে এলেন কংগ্রেসের নিখোঁজ দুই বিধায়ক বিধায়ক ভীমা নায়েক ও আনন্দ সিংহ। ফিরে এসেই ভীমা নায়েক জানান, “আমার দু’টো মোবাইলের একটা বন্ধ ছিল। সে জন্যই দলের নেতারা যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে বিজেপির কাছে যাইনি।”
এই মুহূর্তে কুমারস্বামীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা সুতোয় ঝুলছে। মন্ত্রিসভা থেকে কংগ্রেসের রমেশ জারকিহোলিকে সরানোর পরেই তিনি দল ভাঙতে নেমেছেন। সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের হোটেলে বসে বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার ফেলার ছক কষছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, সঙ্কট দ্রুত কেটে যাবে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানান, সব বিধায়কের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
কর্ণাটকে ‘অপারেশন পদ্ম’ কার্যকর করতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু নিজেদের ১০৪ জন বিধায়ককে গুরুগ্রামের রিসর্টে রেখেছে তারা। এ প্রসঙ্গে কুমারস্বামীর প্রশ্ন, রাজ্যে যখন প্রবল খরা, তখন বিধায়কেরা হরিয়ানায় বসে কী করছেন? অন্যদিকে, নিখোঁজ বিধায়করা ফেরার পর আগামীকাল পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। দলের নেতাদের দাবি, আগামীকাল পরিষদীয় দলের বৈঠকেই সময়েই নিজেদের শক্তি বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা।