কোচ বদলের পরে মোহনবাগান জিতেছে পরপর দুটো ম্যাচ। যার ফলে পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগান প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়েছে। সেই ধারা বজায় রাখতে ডার্বির প্রস্তুতিতে নামে মোহনবাগান ফুটবলাররা।
ডার্বি এখনও দশ দিন দূরে। তবে তার জন্য বসে না থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাগান কোচ খালিদ। চেন্নাই সিটি–র কাছে হারলেও প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলকে মোটেই খাটো করে দেখছেন না তিনি ও তাঁর দলের সেরা অস্ত্র সনি নর্ডি। নেরোকা ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন ওমর। মিশরীয় এই মিডফিল্ডারের চোট নিয়ে একটা চিন্তা ছিল শিবিরে। তবে সেটা কেটে গেছে বুধবার থেকে ওমর হালকা অনুশীলন শুরু করায়। দলের সঙ্গে না করে আলাদা করে রিহ্যাবে মন দিয়েছেন বাগানের মাঝমাঠের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। আশা করা যায় চোট গুরুতর নয় বলেই, পরের সপ্তাহে পুরোদমে অনুশীলন করতে পারবেন তিনি বল পায়ে। ওমর নিজেও এদিন জানান, ব্যথা অনেক কম। ডার্বির আগে পুরো ফিট হয়ে যাবেন। প্রথম দফার ডার্বির হারটা গায়ে লেগে আছে ওমরের। তাই ফিরতি দফার ডার্বি জিততে মরিয়া। বাগান কোচ খালিদের মাথায় ডার্বি থাকলেও চান না এখন থেকে ফুটবলারদের ওপর চাপ আসুক। বলেন, ‘ডার্বি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমার কাছে সব ম্যাচই ডার্বির সমান।
ডার্বি জেতা জরুরি, কিন্তু বাকি ম্যাচ না জিতলে তো লিগ টেবিলে ভাল জায়গায় পৌঁছনো যাবে না। ফুটবলারদের বলেছি চ্যাম্পিয়নশিপের চাপ না নিয়ে প্রতি ম্যাচে ভাল খেলতে। জেতার চেষ্টা চালাতে। ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোই ভাল।’ চোটের জন্য আই লিগের প্রথম দফার ডার্বিতে ছিলেন না সনি। স্বাভাবিকভাবে এবার ফিরতি ডার্বিতে সনির ওপর সমর্থকদের প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া। হাইতিয়ান স্ট্রাইকার নিজেও বুঝছেন সেটা। প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলকে গুরুত্ব দিয়ে সনির বক্তব্য, ‘ডার্বি সবসময় অন্য মেজাজের ম্যাচ। দু’দলের কাছেই ম্যাচটার গুরুত্ব অপরিসীম। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ইস্টবেঙ্গল যখন এই ম্যাচটা জিততে ঝাঁপাবে, তখন আমাদেরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ বাঁচিয়ে রাখতে ম্যাচটা জেতা খুব দরকার। ডার্বি আর চেন্নাই সিটি ম্যাচ দুটোর ওপর আমাদের খেতাব দৌড়ে থাকাটা অনেকটাই নির্ভর করছে। গত দুটো ম্যাচে খালিদের কোচিংয়ে ডিফেন্স সঙ্ঘবদ্ধ করে যে ফুটবল আমরা খেলেছি, সেটা বাকি ম্যাচগুলোতেও দরকার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে।