বিশ্বব্যাঙ্কের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘পেপসিকো’ সংস্থার প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইন্দ্রা নুয়ির নাম বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ৬৩ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নুয়িকে বিশ্বব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে বসাতে চাইছেন স্বয়ং মার্কিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা।
টানা ১২ বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা পেপসিকোর নেতৃত্ব দিয়েছেন নুয়ি। তাঁর আমলে কোম্পানির মুনাফা পৌঁছেছে ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলারে। অবসর নিয়েছেন গত বছর আগস্টে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাঙ্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট যিনি, সেই জিম ইয়ং কিম এ মাসের গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি পদত্যাগ করবেন। একটি বেসরকারি পরিকাঠামো বিনিয়োগ সংস্থায় যাচ্ছেন কিম। ওই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের পরবর্তী প্রধান বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট বাছতে বড় ভূমিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা। নুয়ি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ।’ আবার নুয়িকে যে তাঁর বেশ পছন্দ কোনও রাখঢাক না রেখেই টুইটে তা জানিয়েছেন ইভাঙ্কাও। টুইটে ইভাঙ্কার মন্তব্য, তিনি নুয়িকে দেখেন তাঁর ‘পরামর্শদাতা ও অনুপ্রেরণা’ হিসাবে। জানা গেছে, বিশ্বব্যাঙ্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় এত দিন জড়িত ছিলেন ট্রেজারি সচিব স্টিভেন মনচিন ও হোয়াইট হাউসের কার্যনির্বাহী চিফ অফ স্টাফ মিক মালভ্যানি। সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইভাঙ্কাও ওই কমিটির সদস্য হয়েছেন। আজ থেকে সেই কমিটি ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করবে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া প্রার্থীদের।
এর পাশাপাশি, ফিনান্সিয়াল টাইমস সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রাক্তন মার্কিন দূত নিকি হ্যালিও এই পদের দৌড়ে রয়েছেন। এই পদের দৌড়ে নুয়ির সামনে কিছু বাধাও রয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর বেশ কিছু নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন নুয়ি। সেই সময় প্রেসিডেন্ট পদে কোনও প্রার্থীকেই প্রকাশ্যে সমর্থন করেননি তিনি। নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর ২০১৬ সালের একটি কনফারেন্সে আসন্ন ট্রাম্প জমানা সম্পর্কে বেশ কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও করেন নুয়ি।
তবে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারা কারা সেই দৌড়ে রয়েছেন, তা যেমন স্পষ্ট নয়, তেমনই অস্পষ্ট শেষ পর্যন্ত কারা ওই প্রধান হওয়ার দৌড়ে থাকবেন। যে নামগুলি এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগের মুহূর্তে সেগুলি বাদ পড়ে যেতে পারে বা তাঁরা নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে। ফলে চূড়ান্ত ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না এখন।