বিরাটের দারুণ শতরানের পর মহেন্দ্র সিং ধোনি ও দীনেশ কার্তিকের ধৈর্যশীল ইনিংসে ভর দিয়ে ভারতকে ফিরিয়ে আনল সিরিজে ৷ যখন দলের প্রয়োজন ছিল, তখনই দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিলেন অধিনায়ক বিরাট। অ্যাডিলেডে দুর্দান্ত শতরান করে দলকে সিরিজে সমতায় ফিরিয়ে আনলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত। ব্লু আর্মির জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনিও।
টেস্ট সিরিজে বেনজির সাফল্যের পর প্রথম ওয়ানডে-তে অপ্রত্যাশিত হার চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। অ্যাডিলেডে নামার আগে বেশ চাপেই ছিল বিরাট-ব্রিগেড। সেই চাপ কাটিয়ে দলকে জিতিয়ে আনলেন ধোনি-কোহলিরা। প্রথম ম্যাচের মতো অ্যাডিলেডেও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। মার্শের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে ভারতের সামনে ২৯৯ রানের কঠিন টার্গেট রাখে অজিরা। মার্শ ১২৩ বলে ১৩১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। শেষদিকে ৩৭ বলের ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। ভারতের হয়ে চারটি ইনিংস খেলেন ভুবনেশ্বর কুমার, শামি দখল করেন ৩টি উইকেট।
২৯৯ রান করলে সিরিজে ফিরে আসা যাবে, এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে শুরুটা ভালই করেন ধাওয়ান, রোহিত। প্রথম উইকেটের জুটিতে ৪৭ রান তোলে ভারত। ধাওয়ান ৩২ রানে আউট হন। তারপরই শুরু হয় কোহলি-ঝড়। প্রথমে রোহিত এবং পরে ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন বিরাট। কেরিয়ারের ৩৯তম শতরানটিও করে ফেলেন ভারত অধিনায়ক। কোহলি আউট হওয়ার পর যেটুকু কাজ বাকি ছিল তা পুর্ণ করেন ধোনি এবং কার্তিক। আগের ম্যাচের ‘স্লো’ ইনিংসের জন্য ধোনির সমালোচনা হলেও, এদিন তিনি দেখিয়ে দিলেন কেন এখনও কোহলির দলের অপরিহার্য অংশ তিনি। জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজ আপাতত ১-১ ।