দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। মোদী ম্যাজিক থেকে শুরু করে ধর্মীয় রাজনীতি, ব্যর্থ সব অস্ত্রই। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ফের ‘অপারেশন লোটাস’ শুরু করেছে বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই মুম্বইয়ের একটি হোটেলে কংগ্রেসের তিন বিধায়ককে ডেকে বৈঠক করেছেন বিজেপির কিছু নেতা। এমনই অভিযোগ কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের।
প্রথমে অবশ্য ওই তিন বিধায়ক নিখোঁজ বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। পরে এই মন্তব্য করেন শিবকুমার। এমনও শোনা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশকেও টার্গেট করছে বিজেপি। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, সেখানেও দল ভাঙার খেলায় নামার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের।
সম্প্রতি বারবার কংগ্রেস অভিযোগ তুলছে, কর্ণাটকে জেডিএসের সঙ্গে তাদের জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। তারই মধ্যে শিবকুমারের দাবি, রাজ্যে ঘোড়া কেনাবেচা চলছে। বিজেপির কিছু বিধায়ক ও নেতার সঙ্গে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে রয়েছেন আমাদের তিন বিধায়ক। তাঁদের কত টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে, কী ঘটেছে, সবটাই সকলের জানা। আর এই সূত্র ধরেই কংগ্রেসের এই মন্ত্রীর অভিযোগ বিজেপি ফের ‘অপারেশন লোটাস’ শুরু করেছে ।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্ব তৎকালীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন লোটাস’ চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় সরকার বাঁচানোর জন্য বিরোধী দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে আনতে কোটি কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের ‘ত্রাতা’ বলে পরিচিত ডি কে শিবকুমার। বিভিন্ন সময়ে দলকে বহু সঙ্কট থেকে রক্ষা করেছেন তিনি। সেই শিবকুমারই এবার অভিযোগ করছেন, ঘোড়া কেনাবেচার মাধ্যমে জোট সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা কুমারস্বামীর ভূমিকা নিয়েও সন্তুষ্ট নন তিনি।
শিবকুমারের অভিযোগ, বিজেপির প্রতি নরম অবস্থান নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ বিজেপির এইসব কাজ সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও তিনি সেসব প্রকাশ্যে আনছেন না। বিজেপির এই ষড়যন্ত্রের কথা বিধায়কেরা তাঁকে জানিয়েছেন। সিদ্ধারামাইয়া (প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী) ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাওয়েরও সব জানা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলছেন। যদিও শিবকুমারের দাবি, কোনও ভাবেই সফল হবে না বিজেপি।