রাজনৈতিক জল্পনার মধ্যেই সমর্থন তুলে নিলেন দুই বিধায়ক। মঙ্গলবারেই ধাক্কা খেল কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। এদিন সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর নামে দুই নির্দল বিধায়ক। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন সমর্থন তুলে নেওয়া পর বিধায়ক আর শঙ্কর বলেন, ‘এই সরকার অযোগ্য। আমরা চাই মকর সংক্রান্তিতে রাজ্যে সরকার বদল হোক। যোগ্য সরকার আসুক। তাই আমরা সমর্থন তুলে নিচ্ছি’। আরেক বিধায়ক এইচ নাগেশ বলেন, ‘ভাল সরকার গঠনের আশায় সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু সেই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। জোটের শরিকদের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই। তাই বিজেপির দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে জোট সরকারের থেকে ভাল সরকার গঠন সম্ভব হয়’।
এদিকে, বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’ চালাচ্ছে বলে কর্ণাটকের রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, তাদের পাঁচ বিধায়ক নিখোঁজ। একটি সূত্রের খবর, তাঁরা এখন আছেন মুম্বইয়ের এক হোটেলে। বিজেপি নেতারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরাও দল ভেঙে বিজেপির দিকে যাবেন বলে মনে করেন অনেকে।
কর্ণাটকের জলসম্পদ মন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের অভিযোগ, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বিজেপি এমএলএ-দের তুলে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে একটি হোটেলে রেখেছে৷ সেখানে তাদের সামনে টাকার টোপ সাজিয়ে রাখা হয়েছে’৷
এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে বিজেপি কর্নাটকের জোট সরকার ফেলে দিতে চায়? নাকি লোকসভা নির্বাচনের সময় যাতে এখানে উপনির্বাচন করা হয় সেদিকে হাঁটবে তারা? কারণ জোট সরকারের আসন সংখ্যা ১১৬। সেখান থেকে পাঁচজন বেরিয়ে গেলেও সরকার পড়ার সম্ভাবনা নেই। বিজেপি’র ১০৪ জন বিধায়ক। যদি দল ভাঙাতে বিজেপি সক্ষম হয়, তাহলে সেই আসনগুলিতে উপনির্বাচন করতে হবে।