দরিদ্র উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিল সাংসদে পাশ হলেও এই বিলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল সুপ্রিম কোর্টে। এই বিল শীর্ষ আদালতের একটি রায়ের পরিপন্থী জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছে।
মঙ্গলবার লোকসভা এবং পরে বুধবার রাজ্যসভাতে সংরক্ষণ সংক্রান্তওই বিল পাশ হয়েছে। আর পরের দিনই তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল ‘ইয়ুথ ফর কোয়ালিটি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের পক্ষে কুশলকান্তি মিশ্র বলেন, ‘সংবিধানে যে নতুন চারটি বিষয় ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে, তা সংবিধানের মূল ধারণার বিরোধী। তাতে অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়। আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট করে বলেছিল, সংবিধানের কয়েকটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে। তা সংসদে সংশোধনী এনে কোনওভাবে বদলানো বা ধ্বংস করা যায় না’। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১৫ (৪) ও ১৬ (৪) ধারা অনুয়ায়ী সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত তার রায়ে এও বলেছে, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি সবাই সাধারণভাবে এই সীমারেখা সংবিধান সম্মত ভাবে স্বীকার করে নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীরা বলেছেন, শুধুমাত্র জেনারেল কাস্টের গরিবদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা ঠিক নয়। সব সম্প্রদায়ের গরিবের জন্যই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।
বিরোধীদের অভিযোগ, পাঁচ রাজ্যে ভোটে খারাপ ফল করার পরে বিজেপি বুঝেছে, উচ্চবর্ণের ভোটারদের এক বড় অংশ তাঁদের থেকে মুখ ঘুরিয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের খুশি করতে সংরক্ষণ বিল এনেছে মোদী সরকার। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চাকরিতে মোদী দরিদ্র উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণ করছেন ঠিকই কিন্তু কেউ তার সুবিধা নিতে পারবে না। কারণ দেশে অত চাকরিই নেই। মোদী সরকার গত চার বছরের বেশি সময়ে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি।