বুলন্দশহর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার হলেন বিজেপির যুব নেতা শিখর আগরওয়াল। পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধকুমার সিংহের হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত সে। বৃহস্পতিবার ভোরে বুলন্দশহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরে হাপুর শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিয়ানায় বিজেপির যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি শিখর। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বুলন্দশহরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতুলকুমার শ্রীবাস্তব জানান, ‘এ দিন ভোরের দিকে গ্রেফতার করা হয় শিখর আগরওয়ালকে। সিয়ানা কোতয়ালি থানায় তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে তাকে স্থানীয় আদালতে তোলা হবে।’
ঘটনার পর থেকেই পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শিখর। এরপর একটি ভিডিও প্রকাশ করে গোটা ঘটনার জন্য সুবোধ কুমার সিংকেই দায়ী করেছিল সে। তার দাবি ছিল, ওই পুলিস আধিকারিকই মৃত গরুর দেহবাশেষগুলি থানায় অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিলেন। আর সেকারণেই অশান্তি শুরু হয়। নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং মুসলিমদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে শিখর।
বুলন্দশহর কাণ্ডে সুবোধ কুমার সিংহ সহ পুলিশের খাতায় নাম উঠেছে মোট ৮৭ জনের। যার মধ্যে হিংসায় মদত জোগানোর অভিযোগ ২৭ জনের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর প্রশান্ত নাট নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ইন্সপেক্টর সুবোধ সিংহকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সে। ১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় কালুয়া নামের আর একজনকে। কুড়ুল নিয়ে সুবোধ সিংহের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে। কেটে নিয়েছিল তাঁর হাতের আঙুল এবং আঘাত করেছিল মাথাতেও। মোবাইলে তোলা একটি ভিডিয়ো দেখে জনি নামের আরও একজনকে শনাক্ত করা হয়। নিহতের হাত থেকে রিভলভার কেড়ে নেয় সে। সেনাবাহিনীতে কর্মরত জিতেন্দ্র মালিককে গ্রেফতার করা হয় ৯ ডিসেম্বর। এই মুহূর্তে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে সে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত পবন কুমারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।