সাধারণ শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগকে নির্বাচনের আগে লোক ঠকানোর রাজনীতি হিসাবে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, ‘সুপ্রিম কোর্টকে মানলে ৫০ শতাংশের বেশী সংরক্ষণ হয় না। বিজেপি কি মনে করে, জনতা ঘাস খায়’?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি খুবই খুশি হব যদি দুর্বল শ্রেণীর মানুষেরা চাকরি পান। কিন্তু তাঁদের কেউ প্রতারিত করলে মানব না’। তাঁর প্রশ্ন, এই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক পথে কার্যকর করা কি সম্ভব? নির্বাচন সামনে বলেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রতারিত করা কি উচিৎ? নির্বাচনের নামে কি কোনও সরকার লোক ঠকাতে পারে?’
মমতার প্রশ্ন, এই সংরক্ষণ কি আইনানুগ বা সংবিধান সম্মত? এমনকি এটা আদৌ রূপায়ন করা সম্ভব? কারণ, ১৯৯২ সালে ইন্দ্র সাহানে বনাম ভারত সরকারের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্টই বলা হয়েছে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের সীমারেখা অতিক্রম করবে না। যদি কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সীমারেখা ৫০ শতাংশ অতিক্রম করে তবে তা ঠেকাতেই হবে। এই রায়ের উদাহরণ টেনেই মমতা বলেন, ‘কেউ আদালতে গেলেই এই সিদ্ধান্ত আটকে যাবে’।
মমতার বক্তব্য, ‘সংরক্ষণের সঠিক রূপায়ন চাই। দেশে বেকারত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। অবশ্যই দরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থান জরুরী। প্রান্তিক মানুষেরা সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু যুবসমাজকে প্রতারণা করাও তো নীতিসম্মত নয়। এটা বড় ভয়ঙ্কর সময়। কৃষকদের ঠকানো হচ্ছে, যুব সম্প্রদায়কে প্রতারণা করা হচ্ছে। যেটাই করা হোক তা যেন আইন মাথায় রেখে করা হয়’।