বেতন বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বামেদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার শ্রমিক ধর্মঘটে অবশ্য তেমন কোনও প্রভাব পড়লো না রাজ্য সরকারের দপ্তরগুলিতে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বেসরকারি অফিসগুলিও খোলা এবং সাধারণ মানুষ আজ রাস্তায়। নবান্নে রাজ্য সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক। বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি সরকারি হাসপাতালগুলিতে। অন্যান্য দিনের মতোই রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ভিড় নেহাতই কম নয়। বনধের দিন হাসপাতালে আসার জন্য রোগী ও চিকিত্সকদের দুর্ভোগের কথা ভেবে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ফলে হাসপাতালগুলিতে সচল পরিষেবা।
শ্রমিক ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়েনি রাজ্য সরকারের দফতরগুলিতে। আবার সেক্টর ফাইভ-সহ সমস্ত জায়গার বেসরকারি অফিসগুলিও খোলা। নবান্নে রাজ্য সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক। সরকারি বাস ছাড়াও চলছে বেসরকারি বাস এবং প্রচুর অটো। বনধে বিক্ষোভের জন্য যাতায়াতে সমস্যা হওয়ার কথা মাথায় রেখে এদিন হাজিরার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের কড়াকড়ি তুলে দেওয়া হয়েছে নবান্নে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ১৮টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে দেশ জুড়ে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ঘটনা সামনে এসেছে। রাজ্যে বা শহরে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি। হাজারে হাজারে গাড়ি, বাস রাস্তায় নেমেছে। যান চলাচলও স্বাভাবিক ছিল। কিছু জায়গায় বাস ভাঙচুর করা হয়েছে মাত্র। এছাড়া বাকি দিন গুলির মতই এদিন পরিস্থিতি যথেষ্টই স্বাভাবিক ছিল। প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই শহরের বেশ কিছু জায়গায় বাস-গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধর্মঘট সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশেরে ধস্তাধস্তির খবর পাওয়া গেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই বিষয় নিয়ে পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, কারোর কোনও ক্ষতি হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে হবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কসবায় পরিবহন দফতরের অফিসে এফআইআর-এর কপি জমা দিতে হবে। সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সার্বিক ভাবে এই বনধের কোনও জনভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় নি । ৩৪ বছরের শাসনের কথা মানুষের মনে দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ হোক। ধর্মঘট ডেকে ডেকে ধর্মঘটের যুক্তিটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।যদিও বামেদের বক্তব্য সরকার জোর করে বনধ ব্যর্থ করার জন্য বাস ট্রেন চালিয়েছে কিন্তু আজ পথে যে ভাবে সাধারণ মানুষ বেরিয়ে এসে বনধ কে প্রত্যাখান করেছে তাতে পরিস্কার এই ধর্মঘট কর্মনাশা।