বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগকে সমর্থন করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপাল পদের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। সেই বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এমন মন্তব্য করেছেন বলেও কটাক্ষ করেন পার্থ।
বাংলায় গণতন্ত্র নেই বলে নতুন বছরের প্রথম দিনে অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য রাজনৈতিক শিবিরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৎক্ষণাৎ এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বয়ান দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরের দিন বিতর্কটা ফের উস্কে দেন রাজ্যপাল। একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকেই সমর্থন করে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন, নিশ্চয়ই তথ্য যাচাই করেই বলেছেন। তাঁর কাছে নিশ্চয়ই তথ্য রয়েছে। তথ্য আমার কাছেও রয়েছে’।
রাজ্যপালের এই মন্তব্যেরই তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কী বলছেন, সে কথাটা যদি রাজ্যপাল নিজের আসনে বসে বলেন, তা হলে নিজের সাংবিধানিক অধিকারকে তিনি লঙ্ঘন করছেন। এটা মোটেই ঠিক কাজ নয়’।
রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, ‘আপনার কাছে যদি আইনশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে কোনও তথ্য কোনও তথ্য থাকে সেটা আমাদের দিন’। পার্থর অভিযোগ, ‘রাজ্যপালের আসনে বসে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেন কীভাবে? তাঁর তো রাষ্ট্রপতির কাছে সব জানানোর কথা। সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থনের পেছনে রাজনীতি আছে। রাজ্যপাল তো চলে যাবেন। আসলে দ্বিতীয়বার থাকার জন্যই উৎসাহব্যঞ্জক কথা বলেছেন’।