বাংলার উন্নয়নের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদা সচেষ্ট। তাঁর হাত ধরেই শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষা, প্রযুক্তি ইত্যাদি সবদিকেই এসেছে প্রগতির জোয়ার। রাজ্যের মেয়েদের জন্যে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্প, আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্যে বেশ কিছু প্রকল্প, রাজ্যের দরিদ্র মানুষদের বাড়ি তৈরি করার মত উদ্যোগ, কৃষকদের জন্যে নানা পদক্ষেপ ইত্যাদি সবই করেছেন মমতা। রাজ্যে কমেছে বেকারত্ব, গড়ে উঠছে শিল্পতালুক, নতুন কলেজ। গোটা বাংলা সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর জন্যে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যে তাঁর বিপুল ভাবে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা তা বলাই বাহুল্য। সেই কথাকেই আরও জোরদার করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানালেন রাজ্যের মোট ৪২ আসনই থাকবে তৃণমূলের দখলে।
বুধবার শেওড়াফুলি রেলস্টেশন সংলগ্ন ময়দানে প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ আকবর আলি খন্দকারের জন্মবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শোভন। সেখানেই এই কথা জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংসদ সুব্রত বক্সি, কৃষিবিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, মন্ত্রী অসীমা পাত্র, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, মানস মজুমদার, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। আকবর আলি খন্দকার স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এদিন বিশাল রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে।
শোভনদেব আরও জানিয়েছেন, ‘জমির খাজনা, মিউটেশন, ফসল থেকে শুরু করে বিমার মতো বিষয় নিয়েও কৃষকদের স্বার্থে একমাত্র কাজ করেছেন মমতা। আর বাকি সকলেই মমতাকে দেখে শিখছে।’ রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষদের জন্যেই সমান উদ্যোগে কাজ করেন মমতা। তাই নির্বাচন হবে উন্নয়নের মাপকাঠিতে। আর সেখানে মমতার সমকক্ষ কেউ নেই। তাঁর মত করে মানুষের সাথে মিশে গিয়ে মানুষের জন্যে কাজ করার ক্ষমতা কারোরই নেই। তাই বাংলার মানুষ যেভাবে তাঁর সমর্থনে থেকেছেন এতদিন, ভোটের বোতামেও যে সেই আস্থা দেখাবেন তাঁরা এই নিয়ে আশাবাদী সকলেই।