বছরের শুরুতেই নক্ষত্র পতন। প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়ার ফলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আজ সকাল ১১ টা ৫০ নাগাদ সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর চিকিৎসক এহসান আহমেদ জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। গতকাল একটু নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বুকে সংক্রমণ এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে গিয়েছিল। তাঁর সন্তানরা সকলেই বিদেশে থাকেন। তাই তাঁরা ফিরে এলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলা সাহিত্য ভীষণভাবে সমৃদ্ধ হয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘ছন্দপতন’। ১৯৯০ সালে বঙ্গিম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। ১৯৯৮ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৮ সালে ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ সম্মাননাও পেয়েছেন দিব্যেন্দু। তাঁর লেখা ‘মূকাভিনয়’ গল্পটি নিয়ে ২০০৫ সালে শ্যামানন্দ জালান একটি ছবিও তৈরি করেছিলেন।
সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া সাহিত্য জগতে। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘অনেক দিনের পরম বন্ধু ছিল দিব্যেন্দু পালিত। একসময়েই লেখালেখি শুরু করি। এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিলাম আমরা যে ভাবতেই পারছি না ও নেই। খুব সুন্দর চেহারা ছিল দিব্যেন্দুর। তবে গত কয়েক মাস ধরেই শরীর ভেঙে গিয়েছিল। বুঝতে পারছিলাম বেশিদিন থাকবে না। তবু মন তো চায় না প্রিয়জনরা ছেড়ে যাক।’
সাহিত্যিক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী শোক প্রকাশ করে বলেছেন,‘দিব্যেন্দু বাবুকে দূর থেকে দেখেছি। ভীষণ সমীহ করতাম। কলেজস্ট্রিটে বইয়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে দেখা হত। কথা হত। বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী লেখক ছিলেন তিনি। জানি না কীভাবে এই ক্ষতি পূরণ হবে।’