খুঁটিপুজো করেই ব্রিগেডে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হবে। এখন প্রশাসনিক কাজে বোলপুরে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতায় ফিরলেই খুঁটিপুজোর দিন ঠিক হবে। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভা। দিন পনেরো আগে থেকেই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে যাবে। জানা গেছে, জানা গেছে ঢাকা মঞ্চ তৈরি করা হতে পারে।
ব্রিগেডের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে কলকাতায় দুটি বড় সভার আয়োজন করছে তৃণমূল। সেগুলি ১১ জানুয়ারি শ্যামবাজার ও ১৩ জানুয়ারি হাজরায়। এর মধ্যে শ্যামবাজারের সভায় থাকবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হাজরার সভায় থাকবেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। তার আগে ৬ জানুয়ারি পার্ক সার্কাস থেকে হাজরা পর্যন্ত ব্রিগেডের সমর্থনে মহামিছিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার। বিকাল ৩ টে থেকে শুরু হবে মিছিল।
ব্রিগেডের সভা সফল করতে ইতিমধ্যে সবচেয়ে বেশী জনসভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলায় তাঁর সভায় বিপুল লোক সমাগম হয়েছে। ব্রিগেড সফল করতে সুব্রত বক্সি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা প্রতিদিন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বিধায়কেরা থাকছেন, থাকছেন সাংসদেরাও।
বিরোধী অনেক নেতাই মনে করেন, মমতা ছাড়া কোনও মতেই বিজেপি বিরোধী জোট দানা বাঁধবে না। তাই মমতাকেই করতে হবে জোটের মুখ। তাঁর স্বচ্ছ রাজনীতি ও জনপ্রিয়তাই আমাদের সবাইকে কাজে লাগাতে হবে। বিজেপি ক্রমশই দূর্বল হচ্ছে। ২০১৪-এর মতো হাওয়া এবারে নেই। ক্রমাগত জনবিরোধী নীতি গ্রহণের ফলে মানুষের মন থেকে বিজেপি ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে জানান তৃণমূলের এক নেতা। জানা গেছে, ব্রিগেডের সভার জন্য সুজিত বসুকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দূরদূরান্তের কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করবেন তিনি। নেতাজি ইনডোর-সহ বেশ কিছু গেস্ট হাউসে রাখা হবে দূরের কর্মীদের।
ব্রিগেড উপলক্ষ্যে গোটা বাংলা জুড়ে লাগানো হয়েছে হের্ডিং। বসানো হয়েছে তোরণ। রাস্তার দুধারে লাগানো হয়েছে পতাকা। বেশ কিছু এলাকায় অটোয় করে দলীয় কর্মীরা প্রচার করছেন ব্রিগেডের। ১৯ জানুয়ারি বেলা ১২টায় শুরু হবে জনসভা। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রিগেড সফল করতে সবাই মিলে কাজ শুরু করেছেন। দল ঐক্যবদ্ধ, অটুট।