আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের সাগরমেলা। মেলার জন্য প্রতিবছরই শিয়ালদহ থেকে বাড়তি ট্রেন চালানো হয়। এবার প্রিন্সেপ ঘাট থেকে সরাসরি কাকদ্বীপ বা নামখানা অবধি ট্রেন চালানোর জন্য রেলকে অনুরোধ করল রাজ্য। মেলায়-আসা পুণ্যার্থীরা বাবুঘাট বা হাওড়া থেকে বাসে চেপে লট নং ৮-এ আসেন। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় এই বিকল্প ব্যবস্থা বলে জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়ার রত্নাকর রাও জানিয়েছেন, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে ট্রেনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সে-ক্ষেত্রে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে সরাসরি পুণ্যার্থীরা ট্রেনে চেপে কাকদ্বীপ বা নামখানা চলে আসতে পারবেন।
ভিন্রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশনে নামার পর বাসে করে সরাসরি লট নং ৮–এ চলে আসেন। এত দিন যাত্রাপথে মাঝেরহাট ব্রিজ পেরিয়ে বাসগুলি সরাসরি বেহালা, ডায়মন্ড হারবার হয়ে কাকদ্বীপ পৌঁছোত। কিন্তু মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর দক্ষিণ শহরতলির সমস্ত যান ব্রেসব্রিজ হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত ৪০ মিনিট সময় বেশি লাগছে সমস্ত যানে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সাগরমেলার প্রস্তুতি–বৈঠকে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের পথ মসৃণ করতে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবে। তখনই প্রিন্সেপ ঘাট থেকে সরাসরি ট্রেন চালানোর ভাবনা উঠে আসে। রাজ্য প্রশাসন চাইছে ট্রেনে বেশির ভাগ যাত্রীকে নিয়ে আসতে। তা হলে ব্রেসব্রিজ এলাকার যানজটের দুর্ভোগ কমবে পুণ্যার্থীদের। পুণ্যার্থীদের ধকলও কমবে। এমনিতে ভিন্রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের বেশির ভাগই বয়স্ক। সে–ক্ষেত্রে রাস্তার এই ধকল অনেকেই সহ্য করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও ১২ জানুয়ারি থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় মেলায় আছড়ে পড়বে বলে মনে করছে প্রশাসন। কারণ, তার ২ দিন পরেই অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারির ভোরে মকর সংক্রান্তির স্নান। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।