দমদমে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ। উল্টোদিকে কবি নজরুল স্টেশনে এসি রেক বিকল হয়ে দরজাই খুলল না। প্রায় কাছাকাছি সময়ের শহরের দুই প্রান্তে এমন জোড়া বিভ্রাটে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকল মেট্রো চলাচল। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন বুধবার অফিস টাইমে এমন বিপত্তিতে চরম ভোগান্তিতে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা।
মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে দমদম স্টেশনে কবি সুভাষগামী একটি ট্রেন ঢুকছিল। সেই সময়ই প্ল্যাটফর্ম থেকে বছর তিরিশের এক যুবক মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন। কিছুটা দূরে গিয়ে থেমে যায় ওই ট্রেনটি। চালক স্টেশনে খবর পাঠান। তার পর থেকেই নোয়াপাড়া থেকে গিরীশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেট্রোর কর্মীরা ছুটে আসেন। লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে নীচে নেমে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় সেই যুবককে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সওয়া ১০টা নাগাদ দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়।
দমদমের পরিস্থিতি কাটিয়ে যখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে পরিস্থিতি তখনই কবি নজরুলে বিভ্রাট। এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী একটি এসি ট্রেন কবি নজরুল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পরই বিকল হয়ে যায়। কামরার ভিতরে এসি বন্ধ হয়ে যায়। নিভে যায় আলো। শুধু এমার্জেন্সি আলো জ্বলছিল। এই অবস্থায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখনও ময়দান মেট্রোতে অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি টাটকা। দরজা না খোলায় আতঙ্কিত যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। প্রায় আধণ্টা ওই পরিস্থিতিতে আটকে থাকার পর পিছনে গার্ডের কামরা দিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। তারও আধঘণ্টা পর ওই ট্রেনটি সরিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক হয় বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ।
এই দুই ঘটনার জেরে ফের একবার রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেট্রোতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।