নতুন বছরের প্রথম দিনেই বেজে গেল ভোটের দামামা। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল এদিন। বিগ্রেডের প্রস্তুতির জনসভাও শুরু হয়ে গেল এদিন থেকেই।
প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করেন। তৃণমূল ভবন ও কালীঘাটে তোলা হয় পতাকা। দুজায়গাতেই পতাকা তোলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের বড় লড়াই। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড। এই ব্রিগেডকে সফল করতে সকলকে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে’। ফিরহাদ বলেন, ‘সামনে আমাদের একটাই কাজ। সেটা হল ব্রিগেড সমাবেশ সফল করা’।
প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য নেতারা ব্রিগেড সফল করার আবেদন জানান। সাংসদ ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘আগামী দিনে মমতাই হবেন প্রধানমন্ত্রী’। কেউ কেউ বলেন, ‘ব্রিগেডে এবার রেকর্ড ভিড় করতে হবে’। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘ব্রিগেডের সভায় আমরা উত্তর ২৪ পরগনা থেকে রেকর্ড লোক নিয়ে যাব। আমাদের প্রস্তুতি চলছে। দলের বিধায়ক ও সাংসদরা প্রস্তুতি সভা করছেন। আমাদের লক্ষ্য হল ২০১৯-এ বিজেপিকে হটিয়ে নতুন সরকার আনা। আমরা মনে করি, ২০১৯-এ দিল্লীতে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার তৈরি হবে। নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
পাশাপাশি তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা তোপ দাগেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস ও সিপিএম বিজেপিকে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন। তৃণমূল নেতাদের বিশ্বাস, বিজেপি বাংলায় যতই হাঙ্গামা করুক, সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রতিরোধ করবে। এঁর আগে লোকসভা ও দু’বার বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যেভাবে মমতাকে আশীর্বাদ করেছেন, এবারও একইভাবে তাঁরা আশীর্বাদ করবেন। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, নোটবন্দী থেকে শুরু করে জিএসটি-সহ একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ক্রমশই তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলই তার বড় প্রমান। জিএসটি কমিয়ে কৃষকদের কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও লাভ হবে না কোনও।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতি ব্লকে রক্তদান, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডেনিজের জন্মদিনে রক্ত দান করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ফুলও কাটেন। হাবড়ায় কেক কাটেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মৌলালির মাজারে চাদর চড়ান ফিরহাদ। শাড়ি দিয়ে আসেন দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে।